রাতজাগা শুকতারার আহাজারি যবনিকা হয়,
উদয়ে প্রভাত-
পাখির কোলাহল কানে ভাসে-
আকাশে উড়ে; করে খাদ্যের অন্বেষন।


ঘাসফড়িং তখনো ঘুমে
বেখায়ালে আচমকা আক্রমনে দিশেহারা
এক ঝাপটায় ছোঁ মেরে ঠুঁটের কোনে আটকে যায়
ফড়িং তখন ।
বাঁচা মরার লড়াইয়ে হার মেনে ততক্ষণে
ফিঙের পেটে ঘাসফড়িং ।


জাগতিক যন্ত্রণার নিষ্কৃতি শেষে
সুখের ঢেঁকুর তুলে ডানা ঝাপ্টায় গাছের ডালে বসা ফিঙে’
খুনসুটিতে ব্যস্ত সময় কাটায় ।অতঃপর-
সূর্যকিরণ ঘাসের ডগায় চিকচিক করে
ফড়িঙ্গের দল জেগে ওঠে-
অনেক সতর্ক হয়ে শিকার ধরতে হয় ফিঙের এবার ।


তবু নির্লজ্জের নিদারুন বেঁচে থাকা জীবনের চেয়ে
শিকারী পাখির শিকার তো ঢের ভাল
হোক না তা যতই কালো
অস্পৃশ্য বেমানান ।
চলে যাওয়া মানে ডিসয়্যাপিয়ার
প্রস্থান-অতল গহবরে
সে এক অনাকাঙ্খিত অন্তিম অভিলাষ
বারবার আসে বাণী চিরন্তনী
অনাবাদি জঠরে অপরিপক্ক জন্মের পরিহাস ।