ঘড়ির কাঁটা
যেমনি সকাল
দশটা ছুঁইছুঁই;
অমনি আকাশ
জুড়ে বৃষ্টির দুষ্টুমি শুরু।
আসলে এই দুষ্টুমির পিছনে
আছে অনেকটা লাভ শুধুমাত্র
স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য।
কি মজাদার! তাই না।
সকাল বেলায় উঠে স্কুলের
হোম টাস্ক সেরে রেডি হয়ে
যখনই স্কুলের জন্য বেড়াতে যাবে
বাইরে তখনই হুড়মুড়িয়ে নামে বর্ষারানি।
ব্যাস তখনই টানা কয়েকমুহুর্ত
বর্ষার জলে ভেজার ভয়ে বাইরে বেড়োনো বন্ধ;
তার সাথে ঘড়ির কাঁটাও দম দিয়ে ছুটছে অমনি।
তবে জনাকয়েক ছাত্রছাত্রীরা
হাতে রঙবাহারী ছাতা আর পরনে
রেইনকোট চাপিয়ে জুতোমোজা ভিজিয়ে
বর্ষার মজা নিতে নিতে স্কুলে পৌঁছালেও
অনেক ছাত্রছাত্রীদের অনুপস্থিতির কারণে
অগত্যা স্কুলের হাফ ছুটি ঘোষোনা;
কি মজা তাই না!
সত্যি ভগবান আছেন বটে;
নইলে সারা বছর স্কুলের চাপ
নেওয়া যেত না আর।
যদিও কয়েকটা ঘোষিত ছুটি থাকে,
তবুও হটাৎ করে পাওয়া ছুটির মজাটাই আলাদা।
তবে হে বর্ষারানী রোজ রোজ ছুটি করিও না;
কারন স্কুল ছুটি হলে একদিকে যেমন পড়াশুনার ক্ষতি হবে,
অন্যদিকে আবার বাড়িতে থাকলে মায়ের কাছে সময় নষ্ট করার বকুনি খেতে হবে।
তাই প্লিস আমাদের ভালো-মন্দের কথা ভেবে এসো।।