শ্রাবণের আজ
ঊষাকালেই অস্ত গেছিলেন
সাহিত্য ভান্ডারের মূল কান্ডারী;
যার দরুণ বাংলায়
নেমে এসেছিল ঘন আধারের শ্রাবণ;
যার কালো মেঘ এখোনো সুস্পস্ট
সোনার বাংলার আকাশে।
যার ছায়ায় এখোনো
অরণ্যে অরণ্যে নামে
ক্রন্দন বৃষ্টি দুঃখের;
বারিধারাতে সিক্ত হয় বাংলার মাটি।
বিরাট ঐশ্বর্যের অধিকারী ছিলেন তিনি;
তার দেহের প্রতিটি রন্ধ্রে রন্ধ্রে গ্রোথিত ছিল
স্বর্ণের অধিক মূল্যসম শব্দ-বর্ণ-কথা
যা কবিতা-নাটক-গান-গল্প-প্রবন্ধ রচনার
মধ্যে দিয়ে নানা রূপে
রূপায়িত হয়ে আছে যুগ যুগ ধরে।
প্রেমের ফাগুনকে বসন্তের
রাঙা পলাশের বরন মালা পড়িয়েছেন;
ভালোবাসার অভিমানকে অনুরাগের ছোঁয়া
লাগিয়ে ব্যাকুলতা হেনেছেন;
বলাই এর সবুজ প্রানকে প্রতিষ্টা করেছেন বনে বনে;
শান্তের দুহাত ভরা কোলের ঘেরাটোপ
তৈরি করেছেন শান্তিনিকেতনে,
যেথায় প্রবেশ করলে সব ব্যস্ততা  সব চঞ্চলতা
স্তব্ধ হয়ে যায় এক নিমেষে;
মায়ের আচঁল ভরা স্নেহকে বিলিয়ে দিয়েছেন
মাতৃহারার মাঝে;
দেশকে ভালোবেসে নিজের অর্জিত সম্মানকে
ফিরিয়ে দিয়েছেন হাসিমুখে;
এই মহান মানব বাংলা মায়ের ঘরে
নিয়ে এসেছেন জগতখ্যাত নোবেলের সম্মান;
আজ তাঁর প্রয়ান দিবসে
আমার সহস্রকোটি প্রনাম।
শত শত বার তুমি ফিরে এসো
এই বাংলার সোনার তীরে।।