তোমাকে নিয়ে অনেক কবিতা লেখার কথা ছিল
সুচেতনা, তুমি দূরতম দ্বীপ হয়েই ভালো থেকো।।
সুস্থ থেকো, গভীর নির্জনতায় এক অনন্তবাসে-
এক পৃথিবী অপেক্ষা নিয়ে জীবাণুমুক্ত নিরুদ্দেশে।।


আজ নিভৃতে নিরাপদে থাক গৃহবন্দী অপেক্ষারা,
চলো, সৃষ্টিকে করি লালন চার দেওয়ালের অন্তরালে,
অনুভূতি ডানা মেলুক শঙ্খচিলের মতো, মুক্তকাশে।
প্রতিটি ঘরে আজ স্বপ্ন বাঁচুক যুদ্ধজয়ের বিশ্বাসে।।


বিশ্বজুড়ে সম্মিলিত যুদ্ধ আজ অদৃশ্য শত্রুর সাথে
রক্তপাত নেই তবু ধরণীতে অগণিত মানুষের শব।
আর রণ-ক্লান্ত কিছু মানুষ হয়তো তোমারই পরিজন।
সম্মুখ সমরে তাঁরা, যাদের এতদিন করেছ আক্রমণ।


তবুও যেনো, আবারও বসন্ত আসবে এই প্রান্তরে
আবারও কলকাতা কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে,
আজ দূরত্বেই গুজবে একদিন দূরত্বের ব্যবধান
আগুনের বুকে লেখা হবে জীবনের এপিটাফ।।


শিশির শরীর ছোঁবে আবারো এক সমুজ্জ্বল ভোরে
জানবে মানুষ, পৃথিবীর কাছে রয়ে গেছে অনন্ত ঋণ,
কেটে যাবে পৃথিবীর গভীর গভীরতর অসুখ একদিন
শাশ্বত রাত্রির বুক থেকে ফুটবে আলো, আসবে সুদিন।।