২৭
পানগোবিন্দ কর


বিরাট কিছু করে দেখাবেই
পানগোবিন্দ কর ।
পোড়াতে হলে না হয় পোড়াবে
কিঞ্চিৎ কাঠ-খড় ।


বাগানে অনেক গাছ আছে,
মাঠেও পেকেছে ধান ;
কাঠ-খড়ের অভাব হবে না
নির্ভুল অনুমান ।


বাদ্য-যন্ত্রেই শুভ-মহরৎ
বানাবে এমন বাঁশি ...
লম্বায় যেটা হবে মোটামুটি
এই বঙ্গ থেকে ঝাঁসি ।


ফুঃ দিয়ে বাজাবে একসঙ্গে
সাতান্ন কোটি লোক ;
বাঘ-বাজ আর ঝড়ের আওয়াজ
মিলিয়ে দেবার ঝোঁক ।


ব্যবস্থা প্রায় হল পাকাপাকি
কিন্তু কী সর্বনাশ !
বাঁশ-ঝাড় ঘুরে পাওয়া গেল না
অতটা লম্বা বাঁশ ।


মনে ভাবল তাহলে লিখবে
ন'কোটি পাতার বই ।
প্রথম পাতা ওল্টাতে চড়ো
ছ' মাইল লম্বা মই ।


ভার থাকবে ভারিও হবে
কতই বা হবে ওজন ?
খুব বেশি হলে মেরে-কেটে
পঁচাশি হাজার টন ।


দিন লিখবেই শ'খানেক পাতা
জ্বর-জ্বালা, জল-ঝড় ...
হিসেব কষেই চক্ষু -চড়ক
আড়াই হাজার বছর !


পানু কী দমে যাওয়ার পাত্র ?
ও যে দারুণ বুদ্ধিমান ;
যৎসামান্য চিন্তায় পায় ...
অতি সহজ সমাধান ।


কীর্তি যখন রাখতেই হবে
জগতে পড়বে সাড়া ;
হাজার দশেক কবি-লেখক
করলেই হয় ভাড়া ।


সরকারী রেটে মজুরী দেবে
যথাযথ  পারিতোষিক ;
চোদ্দ পুরুষ ধরে পড়বে
যত রসিক-বেরসিক ।


"মহাকর পানগোবিন্দায়ন"
রাখবে বইয়ের নাম ।
হাজার দশেক বিক্রি-বাটায়
উঠে আসবে দাম ।


ইতিহাসের পাতায় পাতায়
জ্বল জ্বল জ্বল অক্ষর
মহাপুস্তক রচয়িতা
স্যার পানগোবিন্দ কর ।


২৮
আলোর নাম


সকাল বেলার আলো হংসকিঙ্কিনী
দুপুরবেলার আলো মধুমাধবী সারং ।
বিকেলের  পুরিয়া-ধানেশ্রী আরোহিণী
সন্ধ্যাবেলা সাঁঝগিরি শ্যাম-কল্যাণ রং ।