৮৭
হ্যাঁরে হ্যাঁরে হাঁদু

হ্যাঁরে হ্যাঁরে হাঁদু
বলেন তোর দাদু,
              তোর নাকি খুব বুদ্ধি ?
ঢ্যাঁড়সকে রাম-শিঙা বলিস,
              কঙ্করকে মুখ-শুদ্ধি ?


রাত-দুপুরে যখনই লাগে খটকা ;
পুকুরের পাঁক খানিক তুলে
                  দু’হাত দিয়ে চটকাস !
সে পাঁক গায়ে মেখে,
ছুটিস এঁকেবেঁকে ...
হাঁফিয়ে গেলে লাফিয়ে উঠে
                   চড়ে বসিস মটকায় ।


যখন চাঁদ ওঠে ;
তুই তখন                      ঝাঁকামুটে ;
        ঝুড়ি ঝুড়ি জ্যোৎস্না ভরে,  
        তুলে আনিস নিজের ঘরে ;
লাফাস তিড়িং বিড়িং করে          
                  যখন চন্দ্রমুখী ফোটে ।


দুর্ভাবনা  ভোরে
             জাগিস ঘুমের ঘোরে ;
কুঁড়ে সূর্য কী উঠল ?    নাকি উঠতে গেল ভুলে ?
            ঘুমোয়  বকুল-শিরীষ ;
            বাঁশের কোঁড়া পরিস,
পুবের দিকে তাকিয়ে  থাকিস,     লণ্ঠনটি তুলে ।


৮৮
পরামর্শ


বর্ষায়      কোথা পাই ছাতা রে ?
পাখি আসে    কাতারে কাতারে ।
এমন বর্ষায়
কী হবে উপায় ?
দায়ে পড়ে ধরল     ছাতারে ।


গাছে গাছে   আছে কত     পাতা রে ...
তাতেই ঢাক না     তোদের মাথারে ।
তবু যদি ভিজে যাস,
দিতে পারি আশ্বাস
মেঘের ওপারে যা     সাঁতারে ।