পাগল হাওয়ার পালে, নত-মস্তকে অবিরত।
নাছোড় বান্দার মত মৌমাছি,
তবু ব্যাস্ত, মধু আহরণে।
লাল, বেগুনি, সাদা, কমলা,
সাত-রঙা বাহারি ফুলে
সাজানো আমার বাগান।
পাখিদের কলরবে প্রস্ফুঠিত সকাল।
দিনের ব্যাস্ততা চোখে পড়ে,
আরাম কেদারায়।


আমি ভুলিনি তোমায়,
সবুজ পাতার স্পর্শে অনুভূত।
মনে পড়ে স্বপ্নের বেড়াজালে
লাল, সাদা ফুলেদের
আলিঙ্গন অবিরত।
তুমি সর্বদা অনুভূত।


পরিহাস করে আমার মিছে অহংকার,
পাগল হাওয়ার পালে তাই,
বৃথা চেষ্টা দাঁড়াইবার।
তুমি সর্বদা অনুভূত।
তুমি যে পাশে থাক।
অলস মনে স্বপ্ন বুনি
সেলাই-পাখির মত,
বাঁসা কী আর বাঁসা হবে,
তুমি বিহন যত!
তুমি সর্বদা অনুভূত।


তারায় ভরা কাজল কালো রাত,
ইতি–উতি উঁকি মারে জোনাকী যত।
তুমি সর্বদা অনুভূত।


জানি রাহুগ্রাসের অমাবস্যা ফুরাবে একদিন,
পূর্ণিমার চন্দ্রবদন হবে বিকশিত।
আলোকিত হৃদয়-খানি আজ প্রস্ফুঠিত,
তুমি সর্বদা অনুভূত।


স্তব্ধ প্রলয়, চূর্ণ অহং,
আনন্দ শীতল হিল্লোল প্রবাহিত,
তুমি বিহনে পৃথিবী যেন স্তব্ধ–সম্মহিত।
তুমি সর্বদা অনুভূত।