মাঝে মাঝে আমাকেই গালাগাল করতে ইচ্ছে করে।
বোকার মত এমন ভুল করে বসি
ফিরতেও পারি না,আটকে থাকি ভুলে।


দোকানদার কি ভাবছে জানি না
অনেকক্ষণ দাড়িয়ে থেকে
স্মরণ হতেই,“ মোমবাতি আছে ভাই”?
বড় না ছোট , দোকানীর প্রশ্ন ।
আমাকে মোমবাতি ই বলা হয়েছে
বড় ছোট কিছুই বলা হয় নি
তবু বললাম বড়টাই দিন।


মাছ বাজারে গিয়ে ভুলে গেলাম মাছের নামl
সমস্ত বাজার ঘুরে, তাজা পাবদা দেখে
পছন্দ হয়ে গেল। ঘরে ফিরে
বকাঝকার পর বুঝলাম
বেচারা লাউ চিংড়ির অপেক্ষায় ছিল।
এই রকম আরো কত। সংসারের বারোটা
বাজিয়ে উপাধি পেলাম অকর্মণ্য ।
অবশেষে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সহযোগীতায়
দালালের সাথে পাকাপাকি। ধার কর্জ করে
ভিসা টিকিট কনফার্ম। ঘরে জানাতেই
রীতিমত সবাই তাজ্জব  ।
চোখ মুখ দেখে বুঝলাম ওরা তাতে খুশি ই হয়েছে।
বিদেশী আয়ে ঘরে আসবে কিছু সুদিন।
এয়ার পোর্টে যাওয়ার পর পাসপোর্ট টিকেট হাতে দিয়ে দালালের  পার্ট শেষ।  খুশি মনে প্লেনে বসে স্বপ্নের লেজুর ধরে ওড়তে লাগলাম।  ঘণ্টা খানেক ওড়ার পর বিমান কোন একটি এয়ারপোর্ট এ ল্যান্ড করলো।  সবার সাথে আমাকও নামতে বললো।
ইমিগ্রেসান জিজ্ঞেস করলো,কোথায় যাবো,কেন এসেছি এখানে?
বললাম দুবাই যাবো।
আমার পাসপোর্ট ফেরত দিতে দিতে বললো
আপনার তো দুবাই এর ভিসা নেই। আমি
আকাশ থেকে পড়ে গেলাম যেন। ভাবনার শক্তিটুকুও হারিয়ে মনে মনে চিন্তা করছি তাহলে এই ভুল শোধরে কোলকাতা থেকে কি ভাবে আমি ফিরে যাব আমার ঘর।