সেদিনে একটু বেলায় গিয়ে দেখি,
কোথায় নদী ! কোথায় ঢেঊ !কিছুই যে নেই তার,
জল স্থির সবুজ, যেন সে নদী নয়, সে নিয়েছে দিঘীর আকার .........
আমি চিৎকার করলাম ‘ ও নদী , তুমি কোথায় গেলে ? আমি কবিতা ভাসাতে এলাম ! তুমি কি নেবে গো?
কোনো সাড়া পেলাম না, ” ও নদী , আমি সাগর বলছি, তোমার সাগর, তুমি কি শুনতে পাচ্ছো না গো ?
এবারও কোনও উত্তর আসে না, নদীর মুখে কুলুপ
আমি দাড়িয়ে চড়ে, পায়ের নিচের মাটি খসে পড়ে জলে ঝুপ ঝুপ ।
জল স্থির, আমি সামনে তাকাই, সামনের ওই বাঁকে
বাঁধ পড়েছে মস্ত এই চঞ্চলা নদীর বুকে
চোখ জল এলো আমার , ” বাঁধন বেশে ধরা দেবে যদি,
মিছেই আমি সাগর হলাম, মিছেই ভালোবাসলাম নদী ” !
হঠাৎ আমার ইচ্ছে হল সামনের ওই বাঁধটাকে
কেটে দিই, ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে নিঃশ্চিহ্ন করি চিহ্নকে
কিন্তু পারি না, ফিরতে থাকি স্বকীয়তায়, মন নদীতে ছুটে যায়
নদী বন্দী, গতি হারা, নদী অসহায়
নদীর বুকে অসংখ্য কবিতা, প্রেম, বিপুল শক্তি ধরে,
এই সৃষ্টি যা পারে না, আমি নগন্য স্রষ্টা তা পারব কি করে !