গ্রামের নাম মধুবন,সাঁওতাল অধ্যুষিত গ্রাম। সেই গ্রামের বর্ধিষ্ণু পরিবারের
ছেলে বুদ্ধদেব মুখার্জি ওরফে বুধুয়া এবং সাঁওতালের মেয়ে শুখি মাঝি ওরফে
শুঁখিয়ার জীবনের প্রেম কাহিনী অবলম্বনে রচিত কবিতা।
গ্রামের সাঁওতালের মেয়ে, শুঁখিয়ার চোখেই  
বুধুয়ার নেশা, আয়ত লোচন, সুঠাম গড়ন,
পাড়ায় নামডাক, আর শহরের পঠনপাঠন।
পৃথিবীর মত বিশাল পুরুষ তার চোখের দৃষ্টিতে।
আর আগের মত দক্ষিণ দিকের কাকের দল
উড়ে আসেনা সাধের, একান্ত আপন পৃথিবীতে ।
ভালো থাকা না থাকা, সেই  ভিনজাতের কুমারী    
মেয়েকে আবেশে জড়িয়ে ভালবাসায় মহাপ্লাবনে ,
বল্গা হরিণের মত অতৃপ্ত ক্ষুধিত জীবনে দিয়েছিল    
স্মৃতির দংশন জর্জরিত কিছু অলীক কল্পনার সুখ,
আকাশের নীল পর্দা সরিয়ে নারীসুলভ মমত্বে,
মাতৃত্ব  ফিরে পাবার অনাবৃত অদম্য বাসনায়,
সর্বস্ব দানের  ক্লান্তিকর অস্বস্তির উষ্ণতায়,  
বলে, প্রিয়া.........আবারও দেখা হবে ...............!    
নতুন বীজ জন্ম নেবে আবার, এক নতুন সন্ধ্যায়,  
আজ যেমন সন্ধ্যা নামে, প্রতিটা রাত শেষ হয়,  
শুধুই সেই দুরন্ত রাত্রির দুঃস্বপ্ন সব ভুলে থাকা ৷  
এই সমাজে কোনোদিন স্বীকৃতি পাবে না  জানে
সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, হয়তো  কোনো দিন ভুলে যাবে  
এই গ্রাম – এই শহর – ভুলে যাবে সবকিছু তারিই ।  
প্রতারিত ভিনজাতীয়, মেয়েমানুষটি দুশ্চরিত্রা,কুলটা,
জনতার নানান, ভয়াল কুৎসিত বিচারের মাঝেই,
শুধুই অসহায় ভাবে, অপলক দৃষ্টি, এই সমাজে একটা
নারী চেতনার মূল্যায়নের পূর্ণ অধিকার পেতে পারে?