অন্তরীন জীবন হয়েছে আজি অন্তহীন অধ্যায়,
প্রতিদিনের চেনা জীবন, অলীক স্বপ্ন প্রায়।
চাহিয়াও পারিনা ফিরিতে, সে জীবনের আঙিনায়,
ফেলে এসেছি যারে, সংক্রমণের গ্রাসে, অতীতের ঠিকানায়।
শূন্যতার গ্রাসে, প্রতিমুহূর্তে, বিষাদের দুনিয়ায়,
আজ ও বেঁচে আছি, সুদিনের আশে, অবসর অছিলায়।
ভালো ছিলো ওরা, বিদেশ বিভুঁয়ে, নিয়নের আলেয়ায়।
অনুজীব ত্রাসে, ভাঙিল সে ভ্রম, ফিরিলো স্বদেশ তায়।
অহমের বশে, অর্থের মোহে, ভাঙিয়া সকল রীতি,
দুষিল সমাজ, দুষিল জীবন, বিপন্ন হইল জাতি।
ভারতবাসীর ভবিষ্যত আজ করাল শাপের গ্রাসে,
অনুজীব এক মারিছে মানুষ, অমোঘ নাগপাশে।
নিশানায় তার প্রবীন মানুষ, দুধের শিশুরা যতো,
বাঁচিতেছে কিছু সুস্থ সবল, লড়ছে বীরের মতো।
দুনিয়াটা আজ হয়েছে স্থবির, মানুষ অকুল পাথারে,
মানেনি যাহারা নিষেধের বেড়া, উড়াইছে ফুৎকারে।
যতো ছিল দেশ শক্তিশালী, নশ্বর ত্রিভুবনে,
সকলেই আজ নতমস্তক, মারণ সংক্রমণে।
আমাদের দেশ ভারতবর্ষ, লড়াই যাহার ভিত্তি,
পারিবে কী? ঠেকাইতে এই সর্বনাশীর গতি।
দিয়েছে নিদান শাসক সকল, নিষেধের বেড়াজাল,
থাকিতে হইবে অন্তরীণে, অনির্দিষ্টকাল।
লড়াই আমার সচেতনতা, লড়াই আমার শিক্ষা,
লড়াই আমার অন্তরীণে, আপন জনের রক্ষা।
লড়ছে শাসক, লড়ছে প্রজা, আগামি ভোরের আশে,
একদিন ঠিক কাটিবে বিপদ, মাতিবো জয়োল্লাসে।
সুখের সে দিনে মিলিবো আবার, বন্ধু স্বজন সাথে,
ভুলিবো বেদনা, হাসিব আবার, নূতন দিনের প্রাতে।


(C) Bappaditya Nag