সেভেন পয়েন্ট সিক্স ফাইভ বোরেটের একটা বুলেট
বুকটা ঝাঁঝরা করে গেলে সেখানে যে চিত্রটা ভেসে উঠবে
সেই চিত্রটাই তোমা দ্বারা অঙ্কিত; প্রিয়তমা।
সেটাই হবে তোমার ইচ্ছার সমাপ্তি, নাকি অন্য উপমা?
তোমার কল্পিত ভবিষ্যৎ পরপার থেকেই দেখব?
দেখব তুমি দেউলিয়া হয়ে ঘুরছ চির কুমারী রূপে,
নাকি আমার রক্ত মেখে দেবী কালির মত জিহ্বা চেঁপে
প্রায়শ্চিত্য করার উদ্দেশ্যে ঘাতক পিস্তলটিকে
স্তনদেশে তাক করিয়ে চার চারবার টিগার টানবে!?
তোমার কপাল কপোল থেকে শুরু করে পা-তল পর্যন্ত,
স্তন যোনিদ্বারের পরতে পরতে আমার কল্পিত স্পর্শগুলো বলবে’-----
না সূত্রলা, এমন করোনা; আর আমি বলব মমির মত তুমি
অবুঝ অদৃশ্য স্তম্ভের মত দাঁড় করিয়ে যে চিত্রটা
এই হৃদয়ে এঁখেছি সেটা তো তোমারই; তুমি না থাকলেও
মমির মূর্তিটি এই হৃদয়ে থেকেই যাবে,
তবে কেন তুমি টিগার টানতে যাবে? নরম তুলোর
স্বস্তিপূর্ণ কমলা রঙ্গয়ের হাতে তা মানায় না।
তুমি হৃদয়ের টর্ক, আমার ভালবাসার বল আর
ক্ষুদ্র এই মনের টান তোমার হৃদয়কে অক্ষ করে
যে বল-ভ্রামক সৃষ্টি করেছে তার মাত্রা বা একক
শুধু ভালবাসা, ভালবাসা আর শুধুই ভালোলাগা।
আমি যত দূরেই থাকি তোমার টানে স্থিতিস্থাপক হয়ে
রাবারের মত ফিরে আসি অলিন্দ নিকটে
নিলয় মধ্যদিয়ে নিশ্বাস হয়ে প্রবেশ করে হৃদয় অবলোকন করে
প্রশ্বাস হয়ে ফিরে আসি প্রকৃতির মুক্ত বাতাসে,
দেখে আসি তোমার হৃদয়ে শুধুই আমি তবু স্বীকৃতি মিলছেনা।
আমার সহিষ্ণুতা তোমার প্রতি সমোষ্ণ যেখানে
তাপের পরিবর্তন হয় নিমেষে, তাপমাত্রা স্থির
থেকে ক্ষোভকে করে পানির মত লঘু
আর তুমি একটা বন্ধত্বা নিয়ে পরে আছো!!
কেন আমার মৃত্যুর পর কালিদেবীর রূপ ধারণের
প্রতিক্ষায় নিজের আঙ্গুলে টিগারের দাগ কাটছ,
বলতে পারো? বলতে পারো কেন এতো বুলেট পাগল তুমি?
অঙ্গের যে হরমোন তোমার প্রতি আবেগ ফুটিয়ে তুলে
তার অনুরোধে শেষবারের মত তোমাকে বলছি ‘ভালবাসি’।
ফিরে আসো হৃদয় মন্দিরের বাসিনী, আমার রূপসী।