তোমার গুণী চক্ষুগুলোকে টাংস্টেন তারের বাল্ব করে তাতে মোর'-
মনের তেজী বিদ্যুৎ প্রবাহ যে আলো চতুর্দিকে ছড়িয়ে দেয়
তা দ্বারাই আমি বিশ্বের প্রতিটি সৃষ্টি দেখি।


তোমার চোখের মনি উঁকি দেয় মোর মনের কোণে
হৃদয়ের কাব্য ঘরে আলো ফেলে কায়া তুলে প্রেম-দর্পনে;
সে দর্পনেই স্বচ্ছ জ্যোতির উৎস দেখি তোমার আঁখি
উপবাসী মোর নেত্র তেষ্টা মেঠাতেই তোমাতে চেয়ে থাকি।
তোমার আঁখির ইঞ্চি উপরে ভ্রু নামের আদর্শ কৃষ্ণকায়া
বাল্ব বিকীর্ণ জ্যোতি-তরঙ্গ শোষে পরাণে মিশিয়েছে অমলিন মায়া;
প্রেমের শ্বাসকষ্টে অক্সিজেন সিলিন্ডারের নল হয় তোমার নাসিকা
আমি তখন উপেন্দ্রব্রজা ভুলে সনেটে শুরু করি নাসা-কাব্য লিখা।


প্রথম যখন, ছাব্বিশ শত পূর্ব অব্দে, লাল টকটকে গোলাপ দিলে উপহার
এতদিন পর আজ তোমার নখকে ছুরি করে ধমনী কেটে বিশুদ্ধ'-
লাল লালা দিয়ে রাঙিয়ে ভ্যাকুয়ামে রেখেছি যত্ন সহকারে;


তাই আজ তোমার আর আমার প্রেমের বিচিত্রবীর্যের সমৃদ্ধি
রবিউল-রমা কত কাব্য লিখে তোমার আমার সিদ্ধি।
সৃষ্টি থেকেই তোমার পিরিতে মগ্ন, লগ্ন থেকেই হয়েছি তোমার ভক্ত
কাব্যের ইতি হয়ে গেলেও, থাকব আমি এ প্রেমে অবিচল-পোক্ত।