রক্তে উন্মাদনা আছে
তাই বিদ্রোহ করা আমার স্বভাব
জন্মেছিই এক নষ্ট সময়ে
তাই ভাঙনে আমার দ্বিধা জাগে না
আমি দেখেছি পথে বিচ্ছিন্ন লাশ
আকাশে ঝরেছে অগ্নি
তপ্ত বাতাসে নিয়ত আমার শ্বাস প্রশ্বাস।
আমি পদতলে পিষছি রাজপথ
কন্ঠে গেঁথেছি সমরাস্ত্রের হুঙ্কার,
চারিদিকে যুদ্ধের কোন সজ্জা নেই
অথচ আমি যেন এক বিরামহীন যোদ্ধা
চৈতন্যের মেঝেতে অবিরত ঝরে স্ফূলিঙ্গ।
ক্ষুধিতের কান্না আমায় ঘুমাতে দেয় না রাতে
লাঞ্চিত,ব্যথিতের অন্তর্জালা
হৃদয়ে ঝরায় নির্ঝর ঝড়
যত্রতত্র তাই রণাঙ্গন আমার
এখানে ও ওখানে,
আমি বাতাসে ছড়িয়ে দেই বিদ্রোহের বীজ।
চলি অনায়াসে পথ শিশুদের সাথে
কৃষক,শ্রমিক,দিন মজুরের কালো হাতে
আমি অতর্কিতে মিশে যাই,
দুর্বার কিশোরের চোখে পুরে দেই তাজা বিপ্লব।
অবিশ্রান্ত এ যাত্রা আমার
রাত কিংবা দিন,
মুহূর্ত থেকে মূহুর্তের অনুপ্রাসে
প্রলয়ঙ্করী উদ্ধতায় করি বিচরণ।
বড় বিভীষিকা,অভিশাপময়—
অপরাজেয় গ্রেনেড পুষছি বুকে।
যখন তখন ঘটাব বিস্ফারণ,
বিরূপ সভ্যতার বিপরীতে
আমি এক দুরন্ত টাইফোন।


(কবিদের মাথা চিরকাল উঁচু হয়ে থাক,কবিদের হৃদয় চিরকাল ভয় শূন্য থাক।যেন কবিদের শাসনের কেউ  দু:সাহস না করে)