রুক্ষ মরা বটবৃক্ষ নয়
এবার উড়ে যাবো ঝাউগাছের পেছনে যেখানে তালবৃন্ত মড়মড় বাতাসে দোল খেলে নিসর্গের ভেতরে মিলিয়ে যায়।
আর সন্ধ্যার আঁধার চিড়ে কাশফুলের ফাঁক দিয়ে উঁকি দেয় উজ্জ্বল পুর্নিমার চাঁদ।
অসংখ্য বৃষ্টির মতো ঝাউপাতার আবছা অবয়ব ঘিরে যেখানে জ্বলে উঠে রাত্রির উপাঙ্গবিশিষ্ট কীটের ঝাঁক।
যেখানে সারারাত বীণকারের মুখনিঃসৃত গুঞ্জনে বিভোর রাখে অতিথির পিপাসিত প্রাণ।
শর্ষের বিস্তীর্ণ মাঠে মিহি পথের সন্ধান পেতে গা ভাসাব জোনাকির ডানার গায়ে গায়ে
ছোঁয়ার তৃষ্ণাদগ্ধ হাত কালের রুক্ষতা ঝেড়ে ধুয়ে নেব রজনীজলের ধারায়
অতল অনন্ত সীমায় অতিদূর নক্ষত্র দেখে ভোরের হাওয়া সোনালী হয়ে ফিরে আসবে পৃথিবীর বাঁকেবাঁকে
অশ্রুত অব্যক্ত কথায় তখনও মগ্ন গলায় কাব্য ঢালবে সে আকাশ, সে মেঠোপথ।
অলকানন্দা ভরে দিবে সুধাপাত্র
দৈব অমৃতবাণী কাব্য হয়ে ছড়িয় পড়বে পৃথিবীর সমস্ত পথপ্রান্তে
দিগন্তে ছুঁয়ে যাবে লোমশ স্পর্শ!