মধ্যপান,শিদ্ধির নেশায় বদ্ধপপাগল হয়ে ওঠে যুবক
নিপিতার অমর ভাবনায় ফুসফুস,লিভার পচায়
স্বপ্নাবেশে ধরা পড়ে সত্তার অপমৃত্যু
অত্মচিৎকারে আষ্মিক যোগ দেয় পাড়ার কান্না।


মা কাঁদে স্মৃতি নিয়ে,প্রেমিকার পায়ের ছাপ আঙ্গিনায়
এই কথা বলো তুমি,আমি তোমার নিপিতা
দেহ থেকে রূহ ছেড়ে যায়, ছড়ায় মুর্দার ঘ্রান
গোলাপজলের সুবাসে মুখরিত হয় পাড়া।


ঘুম ভাঙ্গে যুবকের,গলিতে নেমে পড়ে টর্চ হাতে
এই ছেলেটা মরে না, ইনি তো সেদিন বলছিলো আমায়
নিথর দেহ পড়ে আছে, কান্নার রোল চারপাশে
সোহাগী বউ,আদুরে সন্তানদের রেখে তিনি পরলোকে।


তার স্ত্রীকে কোলে নেয়া দেখে দেখে বারো থেকে চব্বিশে যুবক
নিপিতার ভাড়াটে প্রেমিক এখন অভিশপ্ত আমি
মাত্রাতিরিক্ত প্রেম মরণ ব্যাধিতে রুপ নিয়েছে
মেডিসিনে উপশম হয় না,হরণ করে অপমৃত্যু।


রতন ডোমের না'কি সুন্দরীদের চিরতে মায়া হয়
অত্মহত্যা করে সুন্দর মানুষ গুলো ফুরিয়ে যাচ্ছে
তিন বোতল মদ গিলেও হুশ থাকে তাদের দেহ দেখলে
মায়া কাটে না তার...
রতন আমার সামনে অফসোস করে বলছিলো সেদিন।


যুবকের সিদ্ধান্তহীনতা চব্বিশের কোটায় পড়েছে
বেড়েছে আত্মহত্যার গভীর ভাবনা শহর
বিশ্বের চব্বিশে ঘটা অপমৃত্যু পড়ছে প্রতিনিয়ত
বুঝি রাষ্ট্র,সমাজ,পুঁজিবাদের  ভাবনা বিরাজমান অন্তরে।


দূরভাষ যন্ত্র ব্যাবহার না করা, সময় বাঁচানো রত্না আপু
বিমল দা'র প্রেম সামলাতে গিয়ে গলায় দড়ি দেন
অতল গভীরে আটকে যায় বালকের সুইসাইড নোট
নিপিতা তখনো ভাবায়নি,এখনো ভাবায় না।


পান্ডুলিপি লেখা হয়নি একটিও,চেপে বসেছে জটিল রোগ
অত্মহত্যার সহজ উপায় খোঁজে যুবক
বয়কট করবে না'কি, সাদরে গ্রহন করবে অপমৃত্যু
উভয় সংকটে বাঁচা-মরার কুন্ডুলী......
নিপিতা এখনো টানে,অভিকর্ষজ বলের প্রভাবে।


আত্মহননে অংকের হিসেব মিলবে হয়তো,অথবা না
দ্বিধা- দন্দে স্বপ্নে নাড়া দেয় পাশের গলির মৃত্যু
নেশার ঘোরে বুধ হওয়া অস্থির ক্লান্ত ঘুমে
চব্বিশে এসে চব্বিশ হাজার আত্মহনন দেখে দেখে
যুবকের হয় চব্বিশ হাজার এক অপমৃত্যু ।