কোনো একটি কবিতা লিখতে  হলে
একবার কেঁদে নিতে হয়,
তারে বৃষ্টির মতো করে ঝরিয়ে
পরিনত হয়,যখোন মাটিতে গড়িয়ে বয়।


একটা  জানালা দিয়ে বৃষ্টি দেখা যায়
আকাশ বেশি কাঁদলে কুয়াশার মতো
দেখায়,
কিন্তু যখোন ভিতর কাঁদে, বুঝবে না
অন্ধকার লাগবে,সব দেখার রেখায়।


বৃষ্টি সঙ্গ পায়,সবুজের আলোড়নে
কোন দুঃখিনীর অশ্রু লুকোনো বন্ধুত্বে,
কবিতা তোমায় নিঃসঙ্গ জীবন দেবে
ধুকে ধুকে নিঃশেষ হবে চিত্তের আর্তে।


এলোমেলো জীবন ছাড়া দেখা যায় না
ক'জন কবিতার পশরা সাজাতে পারে,
উদাস মনে বর্ণ, ছন্দের ভোগ বিলাস
ভেবে লেখা, অন্ধের মতো ভালোবেসে যারে।


কোনো রুপশী কবিতারে আপন করে নেবে
কল্পনায় কবিরে মনের ভেতর গাঁথে,
একদিন কবি নিজেই কবিতা ভুলে যাবে
স্বপ্ন দেখবে নব প্রজন্ম কবিতা নিয়ে হাতে।


কবিতা আপন হলেও, তোমায় ভুলে যাবে
ঘৃনায় ছুড়ে ফেলবে, আসল রুপ দেখলে,
তখোন চারপাশ মেঘলা,চোখ ঝাপশা হবে
আকাশ থেকে বজ্র ধ্বনিতে, ঝড় নেমে এলে।