স্নায়ু যুদ্ধের বেহায়া উল্লাসে জাতি ;
নিজের বোধ খোয়া দেয় দরবারে ।
পোশাক খোলে ডিজিটাল স্ক্রিনে,
সমাজের বিশিষ্ট ভদ্র বলদেরা ।


কালো গ্লাসের গাড়িতে রাতের রজনীগন্ধা,
চুষে দেয় আমলার টাকার পেটী।
টেবিলের গোড়ায় হাতবদলের ঘুষ
বিছানায় রাতভর জল হয়ে গড়ায় ।


হুইচেলে শুনি ক্ষমতার ব্যাবহার
বলি হয় পোড়া ঘর, বিদ্রহী দিনমজুর।
পাটাতনে চিপকে যায় টাকার পাহাড়,
শোকে চুপশে যায় নিরীহের পাকস্থলী ।


শুনি আহাজারি বস্তির কঠিন চিপায়
সন্তানের গলা চেপে মায়ের কান্নার ।
ঘর্ষনে; রিক্সার প্যাডেলের শুনি  ,
নরকে পোড়ানো পাপীর  চিৎকার ।


উঁচু দালানের গুহায় বাইজীর নাচ,
পাজেরোর চাকায় পিষ্ট ফুটপাত,
ভিড় করে আসা মানুষের বিক্ষোভ,
ভাইরাল রমনীর আপত্তিকর ভিডিও।
দ্বায় কার, কে নেবে তুলে ভার ?


আমলার বাড়ি হয়, মুচি কি চায়না ?
প্রশ্নের তীরে হাসে রাক্ষুসে হায়না ।


প্রতিদিন বিষ গেলে ব্যাথাতুর পাবলিক
মিডিয়ার দোকান কেনে রাজনীতিবিদ ,
বাজারের দর ভোক্তার দৈত্যাকার পকেটে  ।
চুরির দায় নেয় বস্তা ভরা উন্নাসিক ।



মানুষ বাঁচে কিসে; কোন কোন উয়াপায়ে ?
বেলকুনি ফুলে সাজে মেকাপের দোকানে,
আমাদের বাঁচা-মরা ঠিক হয় মোকামে ।


লিখছি কলমের আগায় জাতির সাক্ষাৎ কৈশর ;
একদিন নুইয়ে পড়বে স্বমেহনিত লিঙ্গ ।
জাতির ধ্বজভঙ্গ হবে ,শরীর হবে ছাই;
বীর্যপাতের আশা নিয়ে তাই –
রোজ বাড়ি ফিরে যাই ।