অন্ধকার; গা ছম ছমে রাত, গলির পিচ ঢালা রাস্তা
মুঠোফোনের আলোয় ধির পায়ে হেঁটে চলেছি।
ইলিকট্রিসিটি নেই,শুনশান নিরবতা আর আমি
মোড়ের মুদি দোকানটায় নিভুনিভু আলো জ্বলছে।


মেঘলা আকাশে  ক্যামেরার ফ্লাশের মতো আলোক বিচ্ছুরন
দৃঢ় ইচ্ছা নেই, অকারনে আমি হাঁটছি,হাঁটছি..
মনে ভয় নেই,নেই সংশয়,শুধু অন্ধকার আর আমি।
মেইন রোডে একটি দূর পাল্লার গাড়িও নেই,শুধুই আমি।
বিড়িতে চুমুক দিচ্ছি আর অন্ধকার ফুড়ে
আগন্তক  ডাহুক পাখির আল্লাদি খুঁজিছি।


রাস্তার পাশে থাকা বিল্ডিং গুলো মূর্তির মতো দাড়িয়ে
নিম,মেহগনি আর নারকেল গাছ গুলোকে দানব লাগছে।
ভাবছি এ পথে শূন্যতা কেন? তবুও হাঁটছি
চেনা পথে হাঁটছি, আধাঁরের মৌনতায় আমি হাঁটছি।


ফুটপাতে জরাজীর্ণ চাদর মুড়ে শুয়ে আছে কে জানি?
হবে হয়তো কোনো আসহায় নিস্ব ভিখেরি।
নিস্ব তো আমিও, নেই পাথেও,নেই পূর্ণতাও
বিবস্ত্র উম্মাদনায় কোথায় যেনো হারিয়ে যাচ্ছি!  


চৌ রাস্তার মোড়ে কয়েকটা কুকুরের হইহুল্লোড়
বুক কাঁপে,চোখে আজানা ভয়,তবুও হাঁটছি আর হাঁটছি।
জুতো বালুর ঘর্ষনে শরীরে মৃদু শিহরণ হচ্ছে
মেঘময় রাতে অজ্ঞাত গন্তব্যের পথে আমি হাঁটছি।


এ পথে বাধা বিপত্তি নেই,পিছুটান নেই,নেই তুমিও
তবুও হাঁটছি আমি, ঘামছি আমি, এ পথের শেষ নেই।
ঝুম বৃষ্টি নেমেছে কাক ভেজা চুপাশে যাওয়া শরীরে
হাঁটছি আমি,ভাবছি আমি অজ্ঞাত ঠিকানাকে।