শাল মহুয়ার সুভাষিত প্রান্তরে প্রদীপ জ্বেলেছি
উদাস প্রকৃতির সৌরভে তোমায় খুঁজবো।
দূর থেকে ভেসে আসে আহত নরীর ঘ্রান
প্রাণে প্রাণে লুন্ঠিত হয় পুরুষের আকাঙ্ক্ষা।


কোথা যেনো ফেলে এসেছি তারে কৈশরে
ঘন মহুয়ার বনে টেলিপেথিক শব্দ শুনি।
হেসে খেলে  বিস্তর ব্যাপনের খোঁজ মেলে
নিশ্চিন্তে বলে ফেলি; আগত নিপিতাকে ।


ছুটে ছুটে ঠোঁটে পড়া ঘাম শুষে নেই; ক্লান্তি
মুছে ফেলি উড়ে আসা সুতির সাদা রুমালে।
রাতের আধাঁরে ডাহুকের আল্লাদি দেখি,
নিপিতা সেই কবে ফিরেছে ঘরে; আশ্রয়ে।


বছর ক’য়েক পরে শাল মহুয়ায় খুঁজি তারে
সে যেনো আজো জোছনা ছুয়ে বলে ;
চলো পাগলামী করি; ঠোঁটের আলিঙ্গনে
শরীরের ভাষায় কথা বলি সারা রাত জেগে।



নিঃশব্দে বেমালুম বেহিসেবি পাগলামী করি
অট্ট হেসে নিরবতা ভাঙ্গিয়ে দেয় নিপিতা।
আড় চোখে তাকিয়ে বলে; পাগল একটা
দিশেহারা হয়, বালকের অন্তরে আঁকা শালমহুয়া।


শুনি যুগলের বাক ধ্বনি শূন্য এ শহরের গানে
দেখি আনমনে বসে বিমুখিত ঢঙ্গে প্রেম খোঁজে ।
পেছনে ফেলে আসা নিপিতাকে খোঁজে;খোঁজে
কূ’হু তানে রুদ্র রুদ্র করা ক’য়েকটা বসন্ত।


কন্নার খাঁচা কাঁধে তুলে ঘরে ফেরে উদাস বালক
তুমি পাশে না থাকা গ্লানি সজ্জিত দ্বীপে ফেরে;
ফেরে শাল মহুয়া থেকে অনেক দূরে; নিজ তল্লাটে।
শূন্য বালক, রোজ প্রলাপ যপে ভেবে ভেবে অন্তরে,
আবার কখন দেখা হবে শাল মহুয়ার প্রান্তরে।