আমার জ্বর এলে
তুমি ব্যস্ততা ছেড়ে আসতে। আমাকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে ভালোবাসতে।
তোমার আঙুলের প্রতিটি দাম্পত্য ছোঁয়ার নিমিত্তে হতো আমার পুনর্জন্ম।
দেখতাম, তোমার চোখে মুখে উদ্বিগ্ন ছায়া
আমাকে সারিয়ে তোলার অসম্ভব অস্থিরতা।
এ’সব দেখে আমার দু’চোখ জুড়িয়ে যেতো।
সূর্যের প্রথম রোদের আকাশকে বলতাম
এই জ্বর যেন থাকে লেগে আমার শরীরে
আমি চাই এইভাবে তোমার উপস্থিতিতে বাঁচতে।
ঈশ্বরের এমন সুমতিতে আমি খুশী হই।
অনেকরকম ফলমূল সাজিয়ে বলতাম পুজো দিতে,
সাথে বড়সড় টাটকা ফুলের দামী মালা হাতে গেঁথে ।
যেন জ্বর না সারে। তুমি যেতে না পারো ছেড়ে।
অঙ্গে অঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি ওঠে বেড়ে।
সত্যিই তো জ্বর নিঃশেষ মানে তোমার ফিরে যাওয়া, তোমার ব্যস্ততায়।
‘ভালো থেকো’ বলে আমাকে।
তুমি ফুল বেলপাতা আমার কপাল ছুঁইয়ে
তোমার ভগবানকে বিড়বিড় করে বলতে;
‘তনিমাকে ভালো রেখো’। তোমাকে দেবো কড়কড়ে নোটের পাতা।
সন্ধ্যাকালীন জ্বর ভাবিয়ে তুলতো তোমাকে
তখন সত্যিকারে জ্বর বাড়তো গায়। ঘন ঘন ছুঁয়ে দেখায়
আমার প্রসন্ন শরীর স্পর্শ ছায়ায়। আমি তৃপ্ত হই। শীতল হই।
রাত জাগে। চাঁদ জাগে। সোহাগ জাগে। স্পর্শ ছুঁই। দৃশ্য ছুঁই।
সাধ হয় নিভৃতে তোমাকে সমর্পণ দিতে।
সকালের জ্বর ছুঁয়ে তুমি ঠোঁটে হাসি গুছিয়ে নিয়ে বলতে
এই তো ছেড়ে গ্যাছে। এবার ভালো হয়ে উঠছো।
আমি বলতাম...
কে ছেড়ে গ্যাছে।? কে ভালো হয়ে উঠছে?
তুমি বলতে
আলোর অন্ধকার। নিষ্পাপের পাপ।
অভিমানে ঈশ্বরকে বলেছি চুপচাপ...
মনে রেখো জ্বর ছেড়ে গেলে আমার গায়ের থেকে,
আমি কিন্তু হবো না পিছু পা তোমাকে বিসর্জন দিতে ।