সরল বাঁকা জলের দাগ কাটা
শিল্পীরা আঁকছেন ছবি।  
অভিধান থেকে ঠিক শব্দটা
খুঁজে রাখছেন কবি।
চড়তি হাওয়ায় চড়া দামে
মানুষের বোকামি বেচার অভিলাষে।


হঠাত আমার ও হলো  ইচ্ছে  
শিল্পীর মতো ছবি আঁকবো।
কবির মতো কবিতা বাঁধবো
রঙ্ শব্দ নিঙড়ে দু হাত সাবধানে।


মেঘের কৌটো ভেঙ্গে বৃষ্টির রঙে
আঁকলাম আকাশের আঁচল
মাটির তল,গাছগাছালি,ঘর বাড়ি, পুরুষ নারী।
একটু আবছা অন্ধকার।


শিল্পীরা দু চোখ ফিরিয়ে নিলেন
মন্তবের কলরব নীরবে রাখলেন।
এ ছবির বাড়ি কেনো উঠোন ছাড়া,  নিশ্চুপ নিঃশব্দ সাড়া।
উড্ডিয়মান এক ঝাঁক পাখির
গাছের ভিড়ে এক দুটো পাখির
দুঃখবোধ
একটু হাল্কা বাতাসের স্পর্শ।


ভোরের বারান্দায় বসে  
শব্দের চাল গুঁড়িতে বাঁধলাম আলপনা
কবিতার চৌকাঠে।
প্রিয়তম :
"অকারণে কেনো বেড়াও ফিরে
এক সন্ধ্যে এসো আমার নীড়ে
পড়ো আমার কবিতা একান্তে
সততার আঁচে সুখ লাগুক আমার ঘুমের শীতে
তোমার ভালের টিপ আমার সঙ্গে থাক রাত্রির আরশিতে"।


কবিরা চোখ বুজে থাকলেন।
মন্তব্য ঠোঁটে চেপে রাখলেন।
খুব কাঁচা।  দুর্বল শব্দের শিরদাঁড়া।
কবির হাসির বাজনায়
কাঁচের মতো ঝন ঝন করে
ভেঙ্গে পড়লো আমার কবিতার সব শব্দ;
অবহেলার দৃষ্টির আঁচড়ে।
তখন আমার পাশে শুধু আমি।

তাচ্ছিল্য পরিত্যাক্ত ন্যাকড়ার
একদিন মর্ম আছে জেনে;  
এখনো আঁকড়ে রাখি
আমার সব ছবি সব কবিতা খুব যত্নে।
এখন
আমার দুহাতে
আমার দুচোখে
জড়িয়ে ত্রুটি মাখা যতো ভুল
আমার পলক আমার আঙ্গুল।


কোন শিল্পী কোন কবি
দিব্যি শুধরে নিয়েছেন এতদিনের ভুল
উনাদের নিজেদেরই গলদ আঁকা
গলদ লেখা কাগুজে হৃদয়ে।


বিকাশ দাস
মুম্বাই