তোমাকে রোজ দেখি দু হাতে জল ছিঁটিয়ে  
ঘরের চৌকাঠে আসতে।
ঠিক যখন সন্ধ্যার ডালে সূর্যাস্ত হয় নিস্তেজ
আলোয় ভাসতে ভাসতে।


মাথায় আঁচল ফেলে    ঈশ্বরী প্রদীপ জ্বেলে
দু হাতে বাতাস বাঁচিয়ে  
পার করে   আসতে       সব বিভাজনের কাঁটাতার
লুকিয়ে তোমার আঁজলায়  ফুলের গন্ধের ঝনত্কার।

দিনের অসম্ভব  রোদ  জানলার কাঁচ দিয়েছে  ঝলসে  
কাঁচা ধানের শীষ  সূর্যের দানা যদিও দিয়েছে ঝলসে
তবু সমস্ত পথের শেষে
তোমার দুপায়ের পাতা পুড়িয়ে      ফুল  বৃষ্টির  গন্ধে
                                   অধমের কাছে আসতে।
সন্ধের গা তখন কাঞ্চন।
ছ্যাতলা ধরা পুকুর পাড়ে    ঘোলাজলের নিম অন্ধকারে
পরস্পরের স্পর্শ ধারাস্নানে   প্রেমের সঙ্গে প্রেমের ঘ্রাণে
লজ্জার ব্যবধান সাজিয়ে লজ্জার আভরণে;
আকাশের আবরণ ছিঁড়ে আর এক আকাশ দেওয়ালজোড়া
তোমার স্পর্শের নিবিড়ে    
তোমার দুচোখের গভীরে
আমার একই জন্মের অন্তরালে আমার সাত জীবন পারাপার।



বিকাশ দাস
মুম্বাই
১৬।১১।২০১৫