শামরী রাত্রি বেলা অন্ধকার একলা ঝড় পাগলা
মেঘ ভাঙা দুর্দম বৃষ্টির জলে তোমার কাঞ্চন শরীর
আর
অশ্রুর জলে তোমার চাউনি ভিজে ভিজে একাকার।


তোমার অজান্তে আমার দেওয়া কষ্ট লাগা সব আঁচর
বৃষ্টির ভেতর ভেতর সন্তর্পণে চলে যাচ্ছিলো
জলের হাত ধরে অনেক দিনের সম্পর্ক আলদা করে
আর এক নির্বাসনে।


ভালোলাগা বোধ  দিচ্ছিলো  সাড়া
তোমার শরীরের কুশলের অন্তঃসারে
আমার যতো ভুল বোঝার হাহাকারে।
ঈশ্বরও সব লাঞ্ছনার দাগ পর্দার আড়াল করার
প্রযত্নে বাড়িয়ে দুহাত ।


যদিও
বৃষ্টির অবসানের প্রান্তিকে
রোদ খুলে দিলো সমস্ত আকাশের খিল
রোদের স্পর্শে তোমার গা শুকিয়ে শরীর ঝলমল যেন  
আর এক নতুন কাঞ্চনের উত্সার ।


তোমার দু চোখ সম্মতি দিলেও
কিণ্তু মানতে নাছোড় অদৃষ্টের যোগসুত্র
পাথর হয়ে ওঠা তোমার অভিমান  
চাউনির বৃতান্তের  ভেতর ভেতর ।  


আর পাথর কি কাঙ্খিত হাসির গমক
ধরতে পারে চাউনির সৈকতে ?


বিকাশ দাস
মুম্বাই
১৯/১১/২০১৫