আমরা ঘরের মধ্যে এখনও খুঁজছি নিজেদের ঘর
অন্ধকারের আপান্ন ঘেরায় প্রাকৃতিক আলোর প্রপাত ।
বয়েসের সব আঙুল অকাজের এলো মেলো ধুলো ঝড়
কড়া নাড়ছি আর ঝেড়ে ফেলছি অকুশলতার ঘাত ।

অকারণে দৌড়ের মুঠোয়  
অযথা দুচোখের ভেতর অশ্রুর স্খলন
ছন্ন ছাড়া ছিপে অস্তিতীরে সমুদ্র মন্থন।
পৃথিবীর অরণ্য রোদ্দুরী আকাশ
বাঁধন হারা  উদাসী প্রহর দাঁড়ে
প্রবাহ দুয়ার পায়ের কাছে কাছে।


আমরা নিতান্তই নিরুপায় মাটির ঘাস পাতায়
রাত্রি সকাল দীনতার
মুখ নামিয়ে হাতের তালু নৌকো বানিয়ে
আছি দাঁড়িয়ে;
আর
ঈশ্বরের দালাল বলে ওঠে :
হাত পাতো চরণামৃত লহ  
দুঃখ ক্লেশ নিজের মতো করে সহ
পুন্যের পূর্ণতায় ধরো তব দেহ
না সাঁতরে পাড়ে বসে সব তীর্থ পারাপার।


সময়ের স্তর নাগাল হারালে আমরা নিজেদের ভিড় নিজেরাই ঠেলে ধরে
অজল শীলায় ঈশ্বর দেখার লহমা দেওয়ালজোড়া রোমাঞ্চর আবদ্ধ ঘরে
শ্বাস রুদ্ধ  ফুল পল্লবের গন্ধ।
যদিও ঈশ্বর কাল ঘুমে কষ্টি পাথরে
জটিল লোহার গ্রীলে বা কাঁচের ফ্রেমের কিলে  
সহস্র জমকালো কৃতিম আলোর দর্প দ্বিধার সর্পিল লাবণ্যে।


কোন মোহে আমরা অলস শরীর ভাঙ্গতে পারিনা কর্মঠ কর্মযোগে  
প্রত্যহ বেঁচে থাকার দিন খুঁজি নিজের খামতি জরা ভাগ্যের রোগে।


আমরা পোড়া মুখো   এখনও স্বপ্ন হুঁকোর নিমগ্ন
হাতে নিয়ে নিজের মুখ পোড়াই  অবস্কর স্বপ্নের ধোঁয়ায় ।


বিকাশ দাস
মুম্বাই
২১.১১.২০১৫