শুনেছি ঈশ্বর থাকেন বহাল  তবিয়তে
সব মানুষের শ্রমলাগা শরীরের ভিতে ।  
যদিও  ফলের রাজা আম
সবাই জানে তবু তাকে
থাকতে হয় ইট পাটকেলের আঘাতে ।


তুমি আমি সবাই আজও খুঁজে বেড়ায়
বরাতের জোড় দু হাতের ভাগ্য রেখায়;
মরুর তপ্ত বালুতে ঝুলেপড়া মেঘের ভেতর বৃষ্টির ধারা
নিরর্থ লাগা পায়ে পায়ে জীবিকার খন্ডতায় বাঁচার তাড়া ।

তোমার হাতে আমার হাত যদিও ভরে যথার্থ দেনা পাওনায়
রোজ গুছিয়ে নিতে ভাঙছি সময় সাঁকোর পর্ব ।
এক সাথে তবু দিনরাতের মতো আলাদা আলদা কিনারায়
রোজ পাশ ফিরিয়ে আছি নিজের নিজের দর্প ।


হোক দুপুরের আখায় সূর্যনীল জ্বলে পুড়ে খাক ।
হোক রাতের গভীরে সন্ধ্যা চাঁদের উপবস্ত্র খাক ।


জীবনের হাত ভিক্ষের বাটির মতো
ভাবছো কেনো ?
অভাবের হাত তলোয়ারের মতো
রাখছো কেনো ?


সবদিন বাঁচতে হলে আচ্ছা করে বাঁচো;
নিজের অধিকারে শ্রমের ভেতর ভেতর জাগিয়ে নিজের ঈশ্বর
দুহাতের ঘামে নিজের নোংরাবোধ কাঁচো ।


বিকাশ দাস
মুম্বাই
০৩/০১/২০১৬