এই ধুঁয়োতেই  ধক খুঁজছিলাম দুচোখে তাক রেখে  
এই আগুনেই জের খুঁজছিলাম  দুহাতে পাক মেখে
                     এই ধুঁয়ো আগুনের গন্ধের মরমে মরমে খুঁজছিলাম
                      জাগিয়ে থাকার প্রতিশ্রুতির অজর্য সলতে
                      সব বাসিন্দার  বারান্দায় বারান্দায়।


এখানে কুচকায়াজের সমবেত ছন্দের মঞ্জিরে আমশী ঘাসে
গমক লাগা ধুলো উড়ানোর মাটির ভেতর বাতাস নিয়ে আসে
প্রতিদিন বেঁচে থাকার রসদপানির মর্যাদা  ভুবন জোড়া রাসে
সবার মধ্যে সমান সমান ভাগ রসিয়ে  রাখার সরল উল্লাসে।


এখানে জেদের ত্বকের শরীরে জেহাদের রঙ মাখে  না  
এখানে রক্তের উষ্ণতার জোরে আজাদীর ঢঙ রাখে না।
অহিংসার আঁটির অন্তরায় অযথা হিংসার দাঁত  
সুখের সুবাদে মুখের স্বাদে কারোর পেটের ভুখ কাড়ে না।

এখানে নারী পুরুষ একই  সুতোর গাছায় ঘর বাঁধে
দিবারাত্রির সংকলিত জীবন গাঁথা জন্ম মৃত্যুর কাঁধে।
                       এখানে সব রঙের প্রলেপে শুভ্রতার ঝলকে মোড়া
                        সবিত্রী সুলভ স্নেহভরা পবিত্রতার পলক জোড়া।


এখানে শ্রমের কুঠারে নিত্য ভোর অন্নকূট উতসব
এখানে মা লক্ষী আসেন দ্রবিন জোড়া  রাতুল পায়ে
আকঁড়ে রাখেন সবার সংসার নিজের কাঁচুলির ছায়ে।
                এখানে মাটির উপর মাটির ভেতর মহামুক্তির লহমা
                সার্থক জীবন অগ্নিগন্ধের মুগ্ধ পরিক্রমার অসীম দরমা।


  এই ধুঁয়োর ভেতর  এই আগুনের ভেতর  
  এই ছন্দের মঞ্জিরে এই শরীরের মন্দিরে  এই মাটির জঠর নীড়ে
  এই সলতের আলোকী চিরে   বার বার জন্ম নিতে আসবো ফিরে
   দুহাত আগলে আমার স্বদেশ আমার মাটি ।


বিকাশ দাস
মুম্বাই
৩১/০১/২০১৬