অনন্তের পথ ধরে অতলে হারিয়ে যাচ্ছি
অথচ একাকি নই সবসময়
কোলাহলে, জীবনের কত কিছুই গত হয়ে গেল।


ধূধূ প্রান্তরে একাকী নিস্তব্ধ রজনী -
তিমির কালো আঁধারের গায়ে নক্ষত্রমালার সাথে
কালপুরুষের সীমানা এঁটে পথ চলছি নিযুত কাল।
সমুদ্রের বুকে সূর্য ডুবতে দেখেছি বহুবার
পাহাড়ের চূড়ায় মেঘেদের ভেসে থাকতে দেখে
শিহরণে উপলব্ধি করেছি আর্দ্রতা।


আমার দেখা হয়ে গেছে,
ঘাসের শীর্ষে মুক্তোদানায় শিশির বিন্দু।
টইটম্বুর দীঘির জলে পদ্ম পাতায় টলমলে বারিকণা,
শিহরিত নাগ-নাগিনীর যুগল সন্ধি দেখেছিলাম সে'বার।


পার্কে বেঞ্চিতে ঝিম ধরা মাথায় প্রিয়ার বাহানা,
'----এই একটা কিছু কর’না, এভাবে আর কতদিন!
শুনতে শুনতে কান জ্বালা পালা হয়ে গেছে।


এতসব পাখির কলকাকলি,
নিবিড় অটবি নিস্তব্ধতা, প্রিয়ার উষ্ণ চুম্বন
কোন কিছুই এখন আর আমাকে টানে না।
আমি কোলাহল থেকে দূরে সরে যাচ্ছি-
একাকীর গভীরে চলে যাচ্ছি--
ক্রমাগত নিঃসঙ্গতায় ডুবে যাচ্ছি কেবল।


আজকাল বড় নিঃসঙ্গ আমি
অথচ এই সরল-বোধগম্য বিষয়টি বুঝতে
পার করে দিলাম তেত্রিশ যোজন আলোক বর্ষ।।


[ কবির ছদ্ম নাম 'ওনিনেচি'; রচনা কাল  ১৫/৬/২০১৫, কুলাউড়া]