মৃদুমন্দ সমিরণে-
ছুঁয়ে যায় মন, অচেনা স্পর্শ।
আমি একা বসে আছি বালুকাবেলায় -
সময়ের স্রোতপথ পাশকাটিয়ে।
এখানে অনেকই আসে-
আসতে হয় মাঝেমধ্যে!
কেউ আসে জীবন স্পন্দনে, সৌরভ মেখে।
কেউ আসে চোখের জল বদনে শুকিয়ে, ছায়া অবিকল।চুপিচুপি - এরই নাম ঘূর্ণন,
হয়তো আরেক নাম ভ্রমণ।
সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো
মানুষ আসে, মানুষ যায়।
কেউ রেখে যায় হৃদয়ের ছাপ-তটে
কেউ বাষ্প হয়ে উবে যায় আনন্দ ছটায়!
কেউ আসে সংসারমগ্ন প্রাণ-
মুঠো মুঠো স্বপ্ন নিয়ে।
সংসার বিরাগীরা আসে-
পথে পথে সন্ধানী চোখ খুঁজে ফিরে
নির্লিপ্ত নীরব ব্যাকুল নীড়।
কারও ব্যথা ঢেউয়ের ভাষায়
কারও গানে হারানো নিশ্বাস।
কেউ উল্লাসে উড়ে আসে
কেউ- ক্লান্ত ভবঘুরে।
আমি বসে থাকি নির্বাক
সময়ের চোখে চোখ রেখে
একেকটি পদচিহ্ন দেখি-
মুছে যায়- নিঃশব্দ লেখায়।
এই তো জীবন!
আসে–যায়, মুছে–রয়!
ছন্দ-প্রেম, বাঁকে বাঁকে ঢেউয়ের দর্শন-
সময়ের স্রোতপথের পাশে
আমি কেবল নির্বাক পথিক
বসে থাকি স্রোতে খেয়ায় পারাপারের আশে!!
[৬.৭.২৫ খ্রিঃ, কুয়াকাটা]