তুমি হেরে যাবে বলেই আমি কখনো জিততে চাইনি
থাকে থাকে তোমার মত করেই জীবন সাজিয়েছি
তোমার সুরেই বেজেছি বাঁশরী হয়ে
সেই কবে তোমার সত্তায় বিলীন হতে গিয়ে
হারিয়েছি যা কিছু একান্ত আপন ছিল।


আর তো কিছুই নেই বাকী
এখন কেন এড়িয়ে চল ?
কেন চোখের কোণের অশ্রুবিন্দু র কম্পন খুঁজতে যাও?
তুমিই তো বলতে- সব অশ্রু জলের অর্থ হয় না
সব অর্থ খুঁজতে যেও না।
অভিকর্ষ শক্তির স্রোতে আবর্তিত হয়ে নিন্মজ্জিত জীবন
এক সময় মাটির সাথেই হয়তো মিশে যাবে
তবুও জীবনের সব অর্থ খুঁজে পাবেনা।

যেমন, তুমি হয়তো বুঝতে পারনি -
সময় ব্যবচ্ছেদ করে দিয়ে এতটা জড়সড় থুবড়ে যাবে।
তুমি এও হয়তো ভাব নি অতীত বিস্মৃতি গুলো ব্যাধি হয়ে
কখনো ফিরে ফিরে আসবে।


আমার যত দুঃখ, আকাঙ্ক্ষা সবই তো গোপন ছিল!
তা আর সামনে টেনে কী লাভ ?
হলুদ বসন্তে নীল দিয়ে সাজিয়েছিলে
সেই তো মেনে নিয়েছি, একবারও বলিনি বাসন্তী রং আমার খুব সুখ, কখনো জানতেও চাওনি!
শেষ বিকেলে এসে জীবন ধন্য করতে চাও?
তার আর দরকার কী!
অতীত অর্থ খুঁজতে চাও? তা আমি চাই না।
আবর্তনের ও ধারে হারিয়ে যেতে দাও-
বিস্মৃতি ময় অতীত!


এখন আর দুঃখ কর না
বেঁচে থাকতে সুখ চাই ----
তবেই চোখের কোণের অশ্রুবিন্দুর অর্থ খুঁজতে হবেনা।


[কবির ছদ্মনাম “ওনিনেচি”  রচনাকাল- ০১/০২/২০১৩, টেকনাফ]