পদ চিহ্ন ধুলোয় এঁটে, দু'পায়ে হেঁটে চলেছিনু পথে নিরুতিপায়ে
মেঘহীন নিদাঘ গগন, সূর্যের মত দু' চোখ জ্বলে ।


জীবন কী ছিল এতোই ভুলে ভরা?
নিগূঢ় বিবক্ষিত অ্যাখ্যান, বহুকাল আগে রং জ্বলেছে!
কোলাহল থেকে মুক্তি। বাতাসে পাই নিবিদ উদ্রেক
সেই বা ভুলি কেমনে?
এই নিধুবন বেজেছিল মোহনীয় সুর
বাঁশরী সুরে মেতেছিল হনূমান, আমিও মেতেছিলুম প্রেমে !
গেয়েছিলুম জীবনের অবগাহন ।

সে কী নিষ্ঠুর অতীত?
ভাঙ্গনের টানে শস্য জমিন হয়েছে লীন
ফসলটুকু! তা'ও গেল অন্যের ঘরে।
এতই কী নিরোধ,  জীবন, প্রেম, ভালবাসা, রাজনীতি?
সেও মিথ্যে, ঠোঁটের কম্পন, চুম্বনের স্পর্শ ?
সময়ের স্রোতে, গোলক ধাঁধায় খেলা ছলে
হারাইনু যা, তা'ও ধুয়ে নিল কালি গঙ্গার জলে।  
রহিনু যা কিছু পাছে, রাখিনু তোমাদের তরে।


বেলায় বেলায় বের হয়েছিনু পথে
দু' পায়ে ভর দিয়ে যেতে হবে--
দূরে! বহুদূরে!!


[কবির ছন্মনাম- “ওনিনেচি”  রচনাকাল- ১২/১/১৩, টেকনাফ]