দূর গ্রাম দেশে বালকেরা শুকনো পাতায় আগুন জ্বেলেছে,
আকাশটা ধুসর কুয়াশার চাদর জড়িয়ে নুয়ে পড়া বুড়ী, জড়োপাসক থুবড়ে পড়ছে।
ঠকঠক দাঁতের কাঁপুনিতে ফোকলা বালকের মতো
উঁকি দিয়ে দেখে যায় সূর্য দেবতা।


শিশিরে রেলপাত প্লাটফর্ম ধুয়ে যায়।
বয়োবৃদ্ধ নর-নারী বালকদের দল, ভাস্কর্যের গায়ে পরানো কালো আলখাল্লার অবয়ব।
আড়ালে নিবিড় হয়ে আছে সাপের দেহের মতো হিমশীতল অন্ধকার।


এখানে সন্ধ্যার আকাশ আর রাতের হিম প্রবাহ সবই অলিক, মিশিয়ে যায় মৌনতার ক্ষীণ স্বর।
নিরবচ্ছিন্ন ক্ষীণতায় অন্ধকারাচ্ছন্ন শীতল নারীর বক্ষে উষ্ণতা খুঁজে তাগড়া পুরুষ।
পিকাসোর আঁকা ধুসর মেয়ের প্রতিচ্ছায় - গগন জুড়ে শীত নামছে।


খোলা আকাশের নীচে ওরা যারা ঘুমিয়ে পড়ছে, বিদীর্ণ শীত ভেদ করে, নির্বিষ  দেবতার দল।
বৃষ্টি, অন্ধকার,  হিমবাহ মৃদু বিন্যাসে শুষে নেয় তাদের দেহ।
রেখে যায় গাঢ় পদ চিহ্নের ছাপ, নিরেট তুষার পাতের পৃষ্ঠে।।


(০৩/০২/২০২২)