নীল আকাশ পান্ডুর রোশনাই ঢাকছে
ঘন ঘোর বিধুর নীরদ মালা বান ডাকছে
পত্র মল্লিকা রাগে সাজছে মণ্ডূক আয়োজন
নয়ন তারায় নেশা জাগে মুখরিত বর্ষণ।


শাওনের গগন বিদারী হাঁকডাক
আকাশের মর্মোদ্ভেদ দু’নয়ন ঝড়ে
নিভে যায় আলো রশ্মি রেখা-
স্বধারায় লুকায় মূর্ত রূপে ওধারের পাহাড়।


পিয়াস জাগে জলজ প্রাণীরও
কুহু-কাকলি প্রান্তিক বিবর্ণ স্বর
মর্মে’র মত কানে বাজে-
কাকভেজা রিমঝিম রিমঝিম বারিধারা।


শব বাহি সব জাহাজ
মাস্তুলে উড়িয়ে লাল পতাকা
দূর সমুদ্র বুকে ভাসছে-
বাতিঘর খুঁজে ফিরে বন্দরের নেশায়।


ফেনিল ফেনায় মিশে আছে
লোনা স্বাদে আশা-হতাশা
কবিতার মতই মনে পড়ে-
ছেলে বেলা, সে সব রূপকথা।


শ্রাবণের ঘোর আঁধার রাতের মতো
সূর্যও ঘুমিয়ে থাকে শক্ত তক্তপোশ আবরণের নিচে
গহীন পানে ঊর্ধ্বশ্বাসে পাঁজর ভাঙ্গে-
কোলাহল থেকে ছুটি নেয় অতৃপ্ত আখ্যান।


২৩/৭/১৩, কুলাউড়া