======
মন যদি কেঁদে উঠে আসবি বলে
চোখের কোনে জমে যদি অশ্রু কণা দেখার ছলে
ফিরে আয়, ওরে ফিরে আয়।


কি হবে আর অভিমানে অন্ত:জালে।
ফিরে আয় দিগন্ত পেরিয়ে
সাগর - নদী - মোহনা'র অন্ত:স্থলে।
শ্যামলা গাঁয়ে ফিরে আয়
বাক ফিরে, মাঠ পেরিয়ে উজান ডাঙ্গায়।
ফিরে আয় মুক্ত, বিমুগ্ধ, স্নিগ্ধ আঁচল তলে
কোলাহলের জটলা ছিঁড়ে
সীমান্ত কোলে বটের ছায়ায় ফিরে আয়।
ঘাসের ডগায় শিশির মুক্তো দানায়, কলমী লতায় স্নেহ মায়ায়।


ওরে অভিমানী!
আসবি যদি বল, নাড়ী ছেড়া মাতৃক্রোড়ে
মেঠো পথের আইল'টা ধরে।
হ্যাঁ রে, বড় দীঘি'র পাড়ে কাজলা বুড়ি র কুঁড়ে ঘরে
সলতে বাতি আজো কী জ্বলে?


ফিরে আয় সেসব কান্দি র বিলে, খেউরি ধারে
বউচি খেলা হই-হুল্লোড়ে
মায়ের বকুনি বাবার শাসনের দিনে
লুকিয়ে লুকিয়ে অরুণিমা দি'র
আচারের বৈয়াম শাবার করা ঋণে।
ফিরে আয় কিশোর মনে প্রথম প্রেমে
দেখার ছলে পাশের বাড়ির সেই মেয়েটিকে
সিগারেটের শেষ সুখ টানে,
রুবিরুনের চপলা পায়ে নূপুর নিক্কন ছন্দে।


ফিরে আয়, সেসব অবেলা দিনে।
ফিরে আয়, মায়ের আঁচল ছায়ায়
মন যদি কেঁদে উঠে আসবি বলে
ফিরে আয়, ওরে ফিরে আয়।। [ ২১/০৫/২০১৯; হাতিরপুল, ঢাকা]