থেঁতলে গেছে পুরানো হুঁকা
বৃদ্ধ নিশ্বাস এখনো বাজে গহীনে।
চশমার ফ্রেম পরে আছে ছাইপাঁশে
ভাসে এখনো রাগী গর্জনে।


তেল মাখানো বাঁশের লাঠি
ঝুলছে এখনো পুরনো ঘরের খামে।
বাঁশিটা আজও খাটের তলায়
সুরগুলোও নজরবন্দী ভাসে থেমে থেমে।


বাঁশের বৈঠায় মাকড়সার জাল
ডিঙি নৌকা ভেঙে চুরমার খাল-বিলে।
বড় ঘুড্ডিটা এখনো টাঙানো
পাহারায় বয়স্ক ঘরের চালের টিনে।


পুরানো তছবীটা এখনো হেলেদোলে
মসজিদে বয়স্ক বৃদ্ধ শতসহস্র গোনে।
পুরানো টুপিটা ভাঁজ হয়ে আছে
খাটের বাক্সে স্বযত্নে সংগোপনে।


পিতলের বদনাটি ঝকঝকে জ্বলে
গড়গড়িয়ে ওজুর শব্দ এখনো বাজে।
পবিত্র কুরআন শরীফ রেহালে রাখা
গুনগুনিয়ে মধুর সুর প্রতীকী সাজে।


নিমগাছটিও বেশ বৃদ্ধ বটে
ডালগুলো এখনো চমৎকার কথা বলে।
অভিমানে কাঁদে পুকুর পাড়ের আমগাছ
খেজুরের রসে তোমার হাতের গন্ধ মেলে।


কাঁদি বারে বারে স্মৃতির স্মরণে
রেখে যাওয়া আসবাবপত্র মুখচ্ছবি দেখে।
চলে গেলে চিরতরে চিরবিদায়ে
স্মৃতিগুলো ডুকরে কাঁদে পাহারায় মেখে।


স্বপ্নে দেখি প্রিয় প্রতিচ্ছবি
রোজ রাত সকালে পড়ি দোয়া-দরুদ।
বাবা! ভালো থেকো পরপারে।
আল্লাহ তোমায় বেহেশতে নসিব করুক।