সৈয়দ আলী,ইউনুস পুলিশ,মিন্নত আলী
পিতৃতুল্য গ্রামে ছিলেন যারা,
প্রভুর সান্নিধ্যে,ওপাড়ে চলে গেলেন তারা,,
সর্ব উৎকৃষ্ট মানব ছিলেন তারা দরায়
সকলে আঁয় দোয়া করি,তারা বেহেস্ত যেন পায়,,
রশিদ মাষ্টার,করিম পুলিশ,তারাও ওপাড়ে
সকল মৃতদের আল্লাহ যেন,জান্নাত দান করে।


মোল্লা বাড়ীর শোক বেশী,কি আর বলি
পড়েছে অকালে,মরণ ছোবলে মোহাম্মদ আলী
ভাল মানুষ বাঁচেনা,মোহাম্মদ আলী দৃষ্টান্ত প্রমান
তার কবর খানি হয় যেন বেহেস্তের বাগান
এমন ছেলে হারিয়ে,জননী করে হায়! হায়!
সকালে বিকালে জননী কবর, ফিরে,ফিরে চায়
পিতার বয়জেষ্ট,মালেক ও আজগর আলী
হে দয়াময় বেহেস্তের টুকরা,করিও কবর গুলি।


আসাদ উল্লাহ মুন্সী বাড়ি
এ বাড়িতে স্বজন হারানোর হাহাজারি
এই বাড়ির পুরুষের অকালে হয় মরণ
এটা আমাদের বংশগত কারণ
জুলুস মিয়া,ভাই আমার দুই হাজার চারে
চলে গেছে দুখের দাগ,টানিয়া সংসারে
হায়! হায়,কি বলিব তার কথা
কহিতে গেলে ও লাগে,কলিজায় ব্যাথা
হোসেন পুলিশ,ছেলে, মেয়ে,স্ত্রী, রাখিয়া
চলে গেছে অকালে, জগত ছাড়িয়া
আসাদ উল্লাহ,আমান উল্লাহ, মান্নান,জলিল
জাহের ও হাশেম,সবাই অকালে,
বিধাতার ডাকে ওপারে,গিয়েছ চলে
হে দয়াময়,সমস্ত পুণ্য দিয়া, তাদের তরে
দোয়া করি শান্তি দিও,সবার কবরে।


রুছমত আলী মেম্বার বাড়ি
এই বাড়িতে সুখের ছড়াছড়ি
গুনে গুনে দেখলাম যারা পেয়েছে অক্কা
তারা মেরেছে দীর্ঘ হায়াতের ছক্কা
বিয়োজনের বেদনা,তাদের নেই অতটা
বাকি তিন বাড়িতে,মিশে আছে যতটা
সরল মানুষ ছিলেন পিতৃতুল্য মহরম আলী
দয়াময় আজাব মুক্ত করিও সমস্ত কবর গুলি
আঁয় সকলে মিলে,দুই হাত তুলিয়া
সকল মৃতের জন্য দোয়া করি,মাফি মাঙ্গিয়া।



মীর বাড়িতে রেষারেষি,দন্ধ বেশি হানাহানি
এই বাড়ীতে হইছে বোধয়,মানবতার কুলখানি
মানুষ তারা যেমন তেমন,কর্মে গেছে অনেক দূরে
তারা আবার এমন মানুষ,ভেড়া কাটে আপন ঘরে
ফরিদ ভাইয়ের শহীদ ছেলে,কাঁদাইয়া গ্রামবাসী
মা,বাবার ছেদিয়া হৃদয়,হইছে পরবাসী
হে দয়াময় পাক পড়োয়ার দিগার
স্বজন হারানোর ব্যাথা,ক্ষমতা দিও সহিবার।