পুরাকালে সূর্য পত্নী প্রজ্ঞা নাম যার,
সূর্যতেজ একদিন অসহ্য হল তার।
নিজ দেহ হতে তিনি সৃজিলেন কায়া.
প্রাণ দানি তার নাম দিলেন যে ছায়া।
সূর্যের অজান্তে ছায়া সূর্য কাছে রয়,
নিশ্চিন্তে প্রজ্ঞা যায় পিতার আলয়।
প্রজ্ঞা পুত্র একদিন হইল ক্রোধান্বিত,
রাগ বশে মাতৃ অঙ্গে করে পদাঘাত।
বিপরীত ফলে মাতা পুত্র প্রতি কয়,
এখনি পায়ে গোদ রোগ হইবে নিশ্চয়।
তৎক্ষণাৎ গোদরোগ প্রজ্ঞা পুত্রে ধরে,
কি করে এমন হল পিতা চিন্তা করে।
মাতার অভিশাপ কভু স্পর্শ নাহি করে,
কে আছে? হেথায় তবে প্রজ্ঞা রূপ ধরে!
নিরুপায় সূর্যদেব জানিল ধ্যানেতে,
প্রজ্ঞা সৃজিলেন ছায়া নিজ অঙ্গ হতে।
অভিশা্পে প্রমাণিত কে মাতা, বিমাতা,
অভিশাপ কভু নয় মা যে জন্ম দাতা।
মাতৃরক্তে জনমিয়া মাতৃদুগ্ধে হয় পালন,
বিধাতার ও সাধ্য নাই এ বিধি করে লঙ্ঘন।
মাতাই ধারণ করে মাতাই করে রক্ষন,
ধরিত্রী তাই মাতা রূপে যুগে যুগে হয় বরণ।্