সময়ের ক্ষয় নাই সত্যিই,
কিন্তু জীবনের ক্ষয় যে পিছু ডাকে,
ভালোবাসা ভালো বাঁসা বাঁধতে হয়তো বা পারেনি-
পারলে ও আজ সে তো অনুভাবনায় স্হির,
হৃদয় এখন নিজের কাছে গিয়েছে থামি।


সূর্য আজ দ্যাখো ক্লান্ত,
শীতল কালো চাদরের তলায় শুয়ে,
বর্ষা সারাদিন ধরে স্নেহ বারি করে সিঞ্চন,
সুশীতল সমীরণ করে আলিঙ্গন,
বিদ্যুৎ ধনুর টংকারে পাহারা দেয়,
বজ্র নিনাদ করে সার্বভৌম সত্যে জানায় মাভৈঃ।


ব্যস্ততা আজ নিয়েছে যে ছুটি,
মন জুড়ে শুধু চাঞ্চল্যের খেলাঘর,
মৌমাছি গুণগুণ করে আনমনে,
ঢলে ঢলে ফুলগুলি সৌরভ ছড়ায়ে দিয়েছে,
েমেঘপিওনের ব্যাগ খবরে ভর্তি,
সে ছুটেছে অবাধ গতিতে প্রান্তর হতে প্রান্তরে।


কত প্রণয়ীর প্রণয়  তাতে ভরা,
কত গোপন মনের উল্লাস ফোয়ারা,
কত মনের গোপন ব্যথা বেদনা,
কত কামিনীর কামনার পিয়াস-ছলনা,
সব আকাঙ্খার আবেগ ভরে নিয়ে-
মেঘপিওন ছোটে বিদ্যুতের পেছন পেছন।


ঐ দ্যাখো মেঘপিওন, ডাকে তোমায়-
িচিঠি হাতে আলস্যের বেড়াজাল হতে এক মা,
তার ছেলে মেঘ রথে চড়ি জীবিকার লাগি
বিদেশের মাটিতে দিয়েছে যে পাড়ি,
কান্না মাখা হাসিমুখে বলে-
তোমর ব্যাগের ভিতর দিলাম একটা চিঠি,
পৌঁছে দিও, চিঠিতে যে লেখা আছে-
গরম খিঁচুড়ির আঘ্রানের আহ্বান।