"কি গো অরূপবাবু
বড়ো হয়ে কি হবে তুমি ?"
"মা বলেছে, ডাক্তার হব
মৃত্যুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লড়াই করব ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া
জীবাণু দের সাথে।
লক্ষ কোটি মানুষের প্রাণ বাঁচাব।"
"মেধা তুমি?"
"আমি "টিচার" হব স্যার,
ঠিক আপনার মত"
"তাই নাকি! কী পড়াবে?"
"ইতিহাস পড়াব, ভূগোল পড়াব
আর যারা পড়া পারবে না তাদের কান ধরে দাঁড় করিয়ে দেব।"
"ওরে বাবা! তাহলে তো আমি তোমার ছাত্র হব না"
"আচ্ছা, অনিল তুমি বলো,"
"আমি ক্রিকেটর হব স্যার"
"খুব ভালো ...শ্রীতমা..."
এমনি করেই ক্লাসের সবাই
কেউ ডাক্তার, কেউ ক্রিকেটর,
কেউ বৈজ্ঞানিক,কেউ ইঞ্জিনিয়ার
কেউ গায়ক,কেউ বা অভিনেতা হতে চাইলে।


কৈশোরের সকাল থেকে যে প্রশ্ন টা বাতাসের মত ভেসে
এসেছিল আমাদের চারপাশে,
তার উত্তরের শাখা প্রশাখায় ভর করে আমরা পা রেখেছি যৌবনে
সফলতার একচ্ছত্র উপাধি নিয়ে শুরু করেছি রাজ্যপাঠ।


আর স্কুল পালানো সেই ভবঘুরে ছেলেটা,
যে বলেছিল, "আমি মস্ত বড় চাষি হব
ধান হব,মুগ হব,কলাই ক্ষেতের বৃক্ষ হব।
বুভুক্ষু এই পৃথিবীর একক চাওয়া অন্ন হব।
সে কোথায় আজ?
সে কি চাষি হয়েছে?
নাকি পৃথিবীর প্রান্তরে প্রান্তরে আজও মাঠ খুঁজে বেড়াচ্ছে?
তোমরা কি জান,
সে কোথায় আজ?