"ওই পাগলটাকে আশ্রয় দেবে ক্রিয়েট্রা"
কুমুদ প্রশ্ন করলে।


মৃদু হেসে ক্রিয়েট্রা বললে,


"না, কুমুদ
ও দিয়েছে আশ্রয় আমাকে,আমাদেরকে
ওকেই খুঁজতে গিয়ে
'অনন্ত' ব্যবধান গেছে ঘুচে
কুয়াশা মাঝেও স্পষ্ট 'মৈত্রেয়ী'।
আজ যত ঘোলা হোক,ধূসর নদী জল
চেয়ে দেখ কুমুদ, তোমার প্রতিচ্ছবি
অমলিন,অবিচল।"
কুমুদ নদীবক্ষে রাখল চোখ
কুয়াশাহীন স্পষ্ট জোছনায় জলের আয়নায় দেখতে পেল
মৈত্রেয়ীকে।
প্রহেলিকা আবর্তন নেই কিছুমাত্র আর
হৃদয়ের প্রতি স্পন্দন বলে উঠল তার,
"কি সহজ, কি মসৃণ জীবন।
স্রোতের মুখে ভেসে,ক্লেশহীন
প্রশান্ত,জাগরিত।
চোরাগহ্বরের ঘূর্ণপাক সসম্ভ্রমে করে পার
অথই সমুদ্রের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছি এসে
মোহনায়
অবিচ্ছিন্ন আত্মায়
তারই কাছে করেছি সমর্পণ
আজই বিশ্বাসে ভরা আঁখি নত তোমা কাছে
ধন্য জগৎ,ধন্য সৃষ্টি"


ক্রিয়েট্রার গেলাসের ঘোলা জল নীল হল ধীরে
অশরীরি বিষ কেন্দ্রীভূত
ভালবাসা ছড়িয়ে গেল বাতাসে
প্রাসাদের ভাস্কর্য ফুটে ফুটে উঠল
তাতেই ছলকে ছলকে ছড়িয়ে পড়ল
পাগলটার প্রতিবিম্ব, সারা প্রাসাদ জুড়ে
তেমনই দুই হাত তুলে আত্মমগ্ন,আনন্দে
খিলখিলিয়ে হেসে উঠল মহানন্দার শিশুরা, তাদেরই প্রতিধ্বনি
গুঞ্জরিত হল চারপাশে
দ্বিধা নেই আর
পাগলটা বলে আয় আয় আয়,
যেথা তুমি আমি অনন্ত মৈত্রয়ী সবই এক এক এক
বিরাজি কুমুদে,শুভ্রতায়, শান্তির আশ্বাসে..
অবিচ্ছিন্ন স্রোতে
অবিচ্ছিন্নতার সুর তাজে।