বনমঞ্জরীর প্রজাপতিতে,যারা রং এর তড়িৎ দেখেন
ফড়িং এর স্বচ্ছ ডানা, চোখের তলে আঁকেন
পালাই পালাই করেও তারা
কে জানে কোন টানে
হাজির হন,
সে দোর গোড়ায়
অতি পুরা রাজপ্রাসাদের একখানি ঘর
নাচমহল-
আর যুগের খসা বারান্দায়।


ক্রিয়েট্রা তাদের একজন
ঝাঁকড়া মাথা চুল,
যেন একপ্রস্থ অমাবস্যা ঘিরে আছে মুখ।
সেখানে এলে বলে,
"আবার এসেছিস তুই?
কেন এসেছিস? চলে যা"
অনন্ত হেসে বলে,
"ভাল করে চেয়ে দেখো, আমি যাইনি,তুমি এসেছ ক্রিয়েট্রা"
ক্রিয়েট্রা চারপাশ দেখে ভাল করে,
তারপর বলল,
"হ্যাঁ! তবু তুই যা,যা চলে যা, তোর পরবর্তী ঠিকানা ? এই...."
ক্রিয়েট্রাকে থামিয়ে দিয়ে অনন্ত বলল
"কোথায় যাব? কেন যাব?
এই আবর্তিত যন্ত্রণার কারাগার ছেড়ে,
যার প্রতি কক্ষে কান্নারা লুকিয়ে কাঁদে;
এখানে ছলনা নেই,মায়া নেই
এই অকাট্য সত্যভূমির হৃদয় হতে
কোন সাগরে ভাসাবে তুমি?
আবেগের মিষ্ট ভাষ্যে
চার প্রহরের ভালবাসার প্রামাণ্য স্বরূপ সেই তো নিরাভরণ দাঁড় করাবে আয়নার সামনে?
প্রকাশ্য দিনে,
তোমাদের বিশ্বাস করি না আর।
তুমি কেন এলে?
বনমঞ্জরী ভুলে এমন অমাবস্যার দেশে
চেয়ে দেখো এই প্রাসাদের চতুর্দিকে অবিশ্বাস
ভালবাসা কেন্দ্রীভূত,
সবাই পারে না পৌঁছতে--
চেষ্টা কোরো না ক্রিয়েট্রা, ফিরে যাও।"
"তাই তো এখানেই এসেছি অনন্ত,
আমার সবটুকু সঞ্চিত বিশ্বাস তোমায় উপহার দেব বলে
দেরি কোরো না, যাও
এ আবর্তনের আঙিনা ছেড়ে এক নতুন সত্তায়"
কী জানি কী হল,
অনন্ত চলে গেল।
ক্রিয়েট্রা সেদিকে তাকিয়ে বলল,"দেখা হবে মৈত্রেয়ী, মোহনায়"।