অনন্ত রাত্রির ওপারে থেকে
দেখেছি আপনাকে মহারানী, শুধু আপনাকেই দেখেছিলাম।
থর থর প্রদীপের মতো,
বারে বার জ্বলে উঠে নিভে যেতে
কৃষ্ণ চতুর্দশীর আঁধারে।
নিয়তির সৈন্য রা একে একে গেছে ফিরে
আপনি রক্ত বেদনে গঙ্গার তীরে,
এতটুকু জোয়ার আসেনি সেদিন কূলে
আপনার ব্যথা নিরাময়ে।


বৃশ্চিক হৃদয়ে উদ্‌ভ্রান্ত বিদিশা-
কেশতল স্পর্শ করে মাটিতে
কেবল মাটিতে
আপনাকে ঠাঁই দিয়েছিল ওই এক মাটি
সেদিনের চোখের জলে জন্ম হয়েছে কত দূর্বা।
মহারানী, দেখবেন না!
শতদ্রুর বনে ফুল ফুটেছে
আপনার সাজানো বাগানের গোলাপ কিম্বা রজনীগন্ধা নয়
বনফুল।
রাশি রাশি বনফুল।
আমি পাহারায়।


মহারানী আজও কি বোঝেন নি?
আপনার চির উজ্জ্বল স্বর্ণ প্রাসাদে আমি রাজা হতে চাইনি কোনোদিন
চেয়েছিলাম প্রহরী হতে
বৈভবের সিংহদুয়ার আমাকে ডাকেনি
ডেকেছিল আপনার আলো
চির অনন্ত রাত্রির অন্ধকারে ডুবে থাকা এই পথিককে
ডেকেছিল আপনার আলো
আপনার আলো!
বাঁচার প্রেরণায়, বাঁচিয়ে রাখবার অঙ্গীকারে!