'ঘুমের শেষে'


বিশ্বযুদ্ধ,
তৃতীয়,
পঞ্চমে,ষষ্ঠে...
দেহে-মনে,শরীরে সমাধিতে
কবিতে,কবিত্বে।
সিন্দুক ভরে কিছু পুরোনো দলিল
একটা মোমবাতি,আর দেশলাই
মাঝে মাঝে ভুল হয় স্ফুলিঙ্গে জ্বলবে কারা?


হোমানলে এখন আর শিখা দেখতে পাই না,
পুরোটাই ধোঁয়াশা,
ঘরপোড়ারা শরতের খোলা আকাশের নীচে দাঁড়াতেও ভয় পায়,
তাই সিন্দুকটা আজও বন্ধ,
শুচির বেদীতে মোমবাতি জ্বলে পুড়ে নিঃশেষ হয়ে যায় প্রতিরাতে
তবু আলো দিতে পারে না,
শবেদের মিছিলে পা মেলাতে পারি না আজও,
সে যোগ্যতা আমার নেই।
শুধু অলক্ষ্যে মাটি খুঁড়ে খুঁড়ে
সমাধিস্থ মনের জমিতে
চেতনার বীজ বুনছি
কল্পতরুর আশায় ।