"স্বীকারোক্তি"


চোখের সামনে ঝুলছে ক্যালেন্ডার
শ্রাবণ...
বিশ এ জুলাই।
অনুযোগের পারা থার্মোমিটার ফেটে বেরিয়ে পড়লে
কে খবর রাখে তার অস্তিত্বের?
গুঁড়ো ধুলোয় সেই গোলকীয় তরল
কেবল হারিয়ে ফেলে কর্ম ক্ষমতা।


আর এক গোলক,জন্ম লগ্ন থেকেই,
বিষুব রেখা, অক্ষরেখা, কক্ষপথ
মেপে মেপে হিসেব করে চলে,
ঘূর্ণণে,
তার কারণেই তো মহাজগৎ,
দিনের পরে রাত, রাতের পরে দিন
পৃথিবীর একমাত্র সত্যতা;
যে কুঁড়ি কথা দেয় সকাল হলেই ফুটবে,
কীটের ক্ষুধানিবৃত্তির জন্য সর্বশান্ত করে নিজেকে,
যে স্বপ্ন কথা দিয়েছিল,
ঘুমোতে দেবেনা ক্লান্তিতে
সে ঝিমিয়ে পড়ার অভিযোগটাও মেনে নিয়েছে অবলীলায়!
আবার,
যে পিঁপড়েরা বয়ে নিয়ে চলে খাবার রাজা-রানির ডেরায়,
বাঁচে ওরা শীতের  দিন অবধি?
ভেবে নেব,ওরা সত্যিই অবুঝ?


বাস্তবতার মেশিনে চ্যাপ্টা পৃথিবীর একদিকে হেড, একদিকে টেল
কেউ উপর থেকে দেখে 'টেল',
কেউ নীচে থেকে দেখে 'হেড'।
মাঝে অচৈতন্য চেতনার পুরু আস্তরণ,
ঘোলাটে, অস্পষ্ট।
অন্যদিকে একমুখী দৃষ্টিরা সূর্যের দিকে তাকিয়ে,
প্রণমি ভঙ্গিতে,
যুগের পর যুগ।


হয়তো পৃথিবীর জন্য পৃথিবীর দিকে তাকানো স্বার্থপরতা হিসেবে পরিচিত বলে।
তবু অস্বীকার করি কি করে,
দিনের শেষে রাত
রাতের শেষে দিন আনতে
ঘুরতে হয় পৃথিবীকেই,
সূর্যটা স্থির ।।