(দুইটা কাঠঠোকরা, একজনের নাম 'টেঁটি' আর একজনের নাম 'পুঁটি' ... ওদের ছোট্ট একখান পরিবার (দুইটা পোনা তিনটা ছানা )... কাঠ ঠোকরের ফাঁকে দুনিয়ার খবর রাখে..আর গপ্পো করে বাসায় ..... আমি ওদের বন্ধু,ওদের গপ্পো আসরে আমার এন্ট্রি ফ্রি ...হে হে... তা সেদিন কালাচাঁদের যা গপ্পো বলল আমরা হেসেই খুন, রেকর্ড করে রেখেছি ..শুনবে?..)



" চশমা "


প্রেমময় বৈরাগী হইয়াছে কালাচাঁদ
রিকশায় ঢেউ তুলি পাতিয়াছে প্রেমফাঁদ
কৃপণের কন্যাকে বাঁধিয়াছে ডোরে
জামা জুতো মোজা নয়,চশমাটি পরে।
সোনা বাঁধা ফ্রেম নয় আধুনিক স্টাইলিশ
আহা মরি! হিরো যেন, কন্যারা ফিসফিস্।
বাঁকা চোখে সুন্দরী চায় চারিদিকে
সন্দেহে বহু জনে নেয় শুধু ছেঁকে।
চালে আর চলনে নাই কোনো খুঁত
রিক্সায় যায় আসে,আহা বড়লোকি ভূত;
কৃপণের কন্যা মুচকিয়ে হাসে
কালাচাঁদ মাথা নুয়ে বাঁকা চায় কষে।
দিনে দিনে প্রতিদিন সকালে ও বিকালে
দেখা হয়, কথা হয় পাড়ামোড় ফেলে।
সেই দিন ফিরতিতে বাস স্টপে কন্যা
বাড়ায়েছে দুই হাত সেজেছে অনন্যা।
কৃপণ পিতার পায়ে পড়িয়া লুটিয়ে
আনিয়াছে ফুলতোড়া প্রেম হবে জুটিয়ে।
কালাচাঁদে কথা নাই, নাই কোনো হেলদোল
মরিল কি আনন্দে ?হরি কি গন্ডগোল !
টুংটুং নেড়ে মাথা গান গায় গুনগুণে
"দেখেও কি দেখে নাই? " কন্যাটি ভীরুমনে।
কিছুপরে কালাচাঁদ 'দাদু' হয়ে তাকাইল
পড়ি মরি ভোল খেয়ে চশমাটি খুলিল।
নির্বাক 'হে হে' হাসি হেসে কয় কন্যাকে,
"আসিলে কখন তুমি ডাকনি আমাকে?"
হতবাক সুন্দরী ফুল ফেলে মাটিতে
"তাকিয়েও দেখে নাই!" লাগিল ভাবিতে।
কিছুপরে চট করে চশমাটি কেড়ে
পরিল সে একবার ভেবে,মাথা নেড়ে
পরিতেই কালো সবি চিনিতে না পারে
"এই ছিল হিরোগিরি আঁধারে আঁধারে?"
ফাঁস হল গত মাসে গিয়েছিল চোরাবাজার
দুই দিন ঠিক ছিল তারপরই হল আঁধার।
এতদে বাবা আসি ডাকিলেন "কালাচাঁদ",
রিক্সাটি দাঁড়াইয়া, নাকি আস্ত খাদ?
সুন্দরী এতক্ষণে বুঝিয়াছে সবটা,
যেতে যেতে বলে গেল খুড়োকেও আধটা
রেগে উঠে খুড়ো বুঝি গলে দেবে ফাঁস
"দাঁড়া রে হতচ্ছাড়া!
পিঠে তোর আজ আমি ফাটাইব বাঁশ!"


সেই হতে ঠাট ভুলে কালাচাঁদ ভব্য
যাক ,তবে শেষ করি আমি গপ্পের কাব্য।।