(দুইটা কাঠঠোকরা, একজনের নাম 'টেঁটি' আর একজনের নাম 'পুঁটি' ... ওদের ছোট্ট একখান পরিবার (দুইটা পোনা তিনটা ছানা )... কাঠ ঠোকরের ফাঁকে দুনিয়ার খবর রাখে..আর গপ্পো করে বাসায় ..... আমি ওদের বন্ধু,ওদের গপ্পো আসরে আমার এন্ট্রি ফ্রি ...হে হে... তা সেদিন নুটুর দুঃখের গপ্পো বলল, রেকর্ড করে রেখেছি ..শুনবে?..)



"দন্তরক্ষা"


ধবধবে সাদা দন্ত সকল নুটুর অহংকার
অকারণে যায় সে হেসে করে নানান প্রকার।
পাড়ার যত জোয়ান ছেলের তাক লেগে যায় দেখে
শুধায় তারে "বল নারে ভাই! কি চলেছিস মেখে?"
"হুঁ হুঁ !ওসব টোটকা দেশি ,আমার পিসির আবিষ্কার
বললে হবে খরচা আছে, যাই হে আমি নমস্কার!"
সকালবেলায় শিল আর নোড়ায় ঠকাঠকাঠক যোগসাজসে
বাটনাবাটির পরে নুটু চটপটাপট দাঁতে ঘষে।
পাড়ার ছেলে আড়াল থেকে উঁকি মারে দাওয়ার ঘরে
"পেয়ারা পাতা,নিমের বোঁটা ,লবণ, আর ওইটা কি রে?"
দেখার আগেই ছন্দপতন পিসি উঠেছে হেঁকে
রে রে করে দৌড় সবার পড়ে-ঝোড়ে বেঁকে,
জানার চেষ্টা ব্যর্থ একেই,উপরি নুটু মারল ঠেস
ছেলের দল বলল রেগে,"দাঁড়াও, দেখাব মজা বেশ"।


(হপ্তাখানেক পরে)


পিসি ভাত বসিয়ে কি এক কাজে উঠে এলেন ঘরে
কাঁকর দিল খুব ছড়িয়ে ছেলেরা ফন্দি করে
খাওয়ার সময় সেই কাঁকরে ভাঙল নুটুর দাঁত
জুড়ল না আর কেঁদে কেটেও টোটকা কুপোকাত।


সেদিন থেকে মিলিয়ে গেছে নুটুর মুখের হাসি
দন্ত প্যাটরা গুছিয়ে নিয়ে এবার আমি আসি।।