(**প্রিয় কবি ফারহাত আহমেদ স্যার কে জানাই বিশেষ ধন্যবাদ,ওনার আগের দিনের মন্তব্য থেকে প্রেরণা নিয়েই কবিতাটি লিখি।কবি আপনার জন্য রইল আমার চিরন্তন কৃতজ্ঞতা **)


শবরী,
তোমার বারান্দা খালি করে দিয়ে চলে যাচ্ছি।
বনফুলের গাছে কুঁড়ি ধরেছে
ওর রং, গন্ধ কিছুই আমি জানি না
ইচ্ছে ছিল দেখার,
তুমি দেখো।
কলমটা তোমায় দিয়ে গেলাম
দেখো, কালি যেন শুকিয়ে না যায়,
চাঁদের কলঙ্ক ভরে দিও সময় মতো।
প্রতিদিন তোমার অগোছালো আলপনায়
আকৃতি দেওয়ার ব্যর্থ খেলা
আমি আর খেলব না।
শিশির স্নাত আড়ষ্ট সকালে
তুমি কাঁদতে পার নিজের মতো
আমি মান ভাঙাতে চাইবো না।
শবরী,তোমায় ভালোবাসতে দ্বিধা নেই আমার
কিন্তু বারান্দায় দাঁড়িয়ে আঁধারে
যখন তোমার ঘন কালো কেশ রাশির এক একটিকে ঝরে যেতে দেখি,
দেখি বার্ধক্যের কবলে অমৃত প্রাণ আমার-
সহ্য হয় না।
শ্মশান চিতা আঁচ দিয়ে যায় দেহে,
মৃত্যু পা ছুঁয়ে যায়, শবরী।
তবু বিদ্রোহী হতে পারি না তোমার জন্য
হয়তো, তোমারই জন্য
সে কি ব্যর্থতা?


তোমায় ভালোবেসেছি আজীবন
জানিনা,তুমিও আমায় ভালোবাস কিনা,
বলোনি কোনোদিন।
যদি ভালোবাসো,
তবে কলমটাকে যত্ন করে রেখো ,শবরী ।।