ফেরিঘাটে যাওয়ার সময় হয়ে এল বুঝি।


তোমার অলিন্দে বয়ে যাওয়া সেই নিস্তব্ধ স্রোতে
কল্লোলের প্রথম সুরধ্বনি ,
যেদিন শুনেছিলাম অন্নের তাড়নায় এক হয় রাত দিন
তবু খসে পড়া কাঁধে একরাশ মনোবল,
ভাগ করে খাওয়া দুমুঠো ভাতে লুকিয়ে জন্মেছিল ভালবাসা।
আঁচলের খুঁটে বাঁধা দুআনার সম্পদে সংসার হেঁটেছিল।
সেদিন ভালবাসা শ্বাস নিত উনানের ঘামে,
পাতা পড়া ময়লা উঠানে ছড়ানো পুতুলের কাঁচা রঙে।
কত অবাক হয়ে থেকেছি সারাটা দিন
কত অবাক হয়ে ধুয়েছি গোয়ালঘর
কত অবাক হয়ে বেঁধেছি লাউয়ের মাচা,
শুনেছি প্রথম ফুলের প্রশংসা
দেখেছি তোমার স্ফটিক চোখে অবাক কল্পনা।
আমার মনে তোমায় হয়নি বলা
যখন ঘোমটা টেনে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালা
তুমি বসতে চাটাই পেতে,
দুই মন এক ধ্রুবতারার দিকে
বলতে তুমি, "ফুলের মালা সকল মনে রাখে।"
মালার সুতোয় অবাক ভালবাসা।
চাঁদ বোঝেনা লজ্জা পাওয়ার ভাষা,
মেঘ বোঝে।
সেই মেঘেতে বৃষ্টি নেই,হঠাৎ করে আসে চাঁদের 'পরে
আবার সরে যায়।
তোমার অলিন্দে বয়ে যাওয়া স্রোত আমি আবার শুনতে পাই
আমি শুনতে পাই "ফুলের মালা সকল মনে রাখে।"
আমি শুনতে পাই "তোমায় ভালবাসি,
এ সংসারকে হয়তো কিছু বেশি।"