মাধবীলতার ফুল চেয়েছিল ও আমার কাছে
একদিন নিয়ে গেলাম ওকে,
মাধবীলতার বনে
এক হেমন্তের দ্বিপ্রহরে।
শাখায় শাখায় দুলছিল থোকা থোকা মাধবীলতা
ঠিক ওর কানের ঝুমকোটার মতো।
সেদিনের হালকা হাওয়া হিমের পরশ জাগিয়েছিল মনে,
খোলসের মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রজাপতিদুটি সেদিন প্রথম ডানা মেলে উড়েছিল আকাশে,
সবুজ ঘাসের গন্ধে মাতাল হয়েছিল দুটি হৃদ‌য়।
ক্রমে সে গন্ধ গাঢ় হয়ে এল,
ওড়নাটা পড়েছিল মাথার ওপাশে ,
চুলগুলো এলোমেলো,
হৃদয়ের সমস্ত আবেগ দিয়ে আঁকড়েছিলাম ওকে।
একুশ বছর আগে...........


আজ একটি নির্মল অপেক্ষার দিনে
বাসস্ট্যান্ডে বসেছিলাম একা,
মানুষের ভিড় পায়ে পায়ে হেঁটে চলেছে
সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো।
চাকাগুলো ঘুরতে ঘুরতে এসে থেমে যাচ্ছে।
যে মেঘময় বিকেল পুলক জাগাত আনমনে,
বড়ো ফিকে মনে হচ্ছিল আজ তাকে।
শহরের ব্যস্ততায় মিশে গেছি এখন,
হাওড়া ব্রিজের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় নিজেকে মেঘ মনে হয়না আর,
ফ্লাইওভারের উপর থেকে চাঁদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলিনা,
যাদুঘরের দেওয়াল রহস্যের মায়া জাগায় না,
এক আছে তো সবই
কেবল বদলে গেছে দেখা।


পুরোনো ঝিনুক ক্ষয়ে ক্ষয়ে শেষ হয়ে যায়,
মুক্তটার কি হয়?



গল্পটির পরবর্তী এবং শেষঅংশটি আগামীকাল ।