আজ বসন্ত
              শবরীশেষে,
          আর্ত মুহূর্তে মেশে।
   কারচুপি কার,ঘনা‌য় অন্ধকার
           শ্রীহীন রাত্রি শেষে।
              আজ উদভ্রান্ত
               মদিরফণা
        করে আনাগোনা রাজপথে।
   অবসাদে মাখামাখি শঙ্খিল আবেশ
       ঢালে বিষ চিত্তে নির্নিমেষ,
            স্নায়ু যে বিকারে,
নিদ্রাহীন চোখে গ্রাসে নীল গরলের ধারা।
     তাই বিভোর জলসা কেটে যায় ,
      বিষ তবু জেগে রয়,মননের
             কোণে কোণে।
       নিরন্তর লোভ টানে,তবে
          মরণ সে যে কার?
লোভই যদি পাপ হ‌য়;পাপ তবে কিসে হয়
            কে করে বিচার?
            গরল উথলে ওঠে
            অনর্গল দিনে রাতে,
            সহসা টুটে যবে
অসহায় অনাত্মীয়া রবে পড়ে ফুটপাতে।
            তাকে নিয়ে কোলাহল
             ভেঙে ফ্রেম কিছুক্ষণ
          ক্ষোভ ঘৃণা আর দীর্ঘশ্বাসে।
              একদিন ভুলবে সবে
               মৃত ছাই উড়ে যাবে
              রাজপথের ফ্লাইওভারে।
               জমা থাকা ক্ষোভ যত
               ঝরে পড়ে অবিরত
                পথের ধূসরতায়।
              ধূলোমাখা সেই ছবি,
              কতটুকুই বা হবে দামি
            তবু সে যে সত্য ,জীবনের বীন
      যার সুরে কেটে যাবে অমোঘ অমানিশা।
             সে ছাই বাতাসে উড়ে
             গভীর দুর্যোগ হানে,
         আর ঝোড়ো স্রোত টেনে আনে
        মরণ সমুদ্র হতে অগণিত অশ্রুবারি।
                তার ঝঙ্কার জাগে,
             আকাশে প্রশ্নবাণ দাগে;
              কালাপানি হবে কবে?
              প্রভোকের গলে ফাঁসি
                লোভের লীলা
          হাঁড়িকাঠে কবে দেবে প্রাণ?
     মুক্তির স্বাদ নিতে যে বড় কাঁদে প্রাণ।
             একমুঠো নিকলুষ বায়ু
          যার উল্লাসে শতদল ফোটে
             আধাঁর রাত্রি কাটে
        বেজে ওঠে ভোরের কুহুতান।
             আয়নায় মুখ ভাসে
             হঠাৎ নিদ্রা ভাঙে,
            অম্লান্ধ চোখ দেখে
          ধ্বস নামছে মাটির বুকে ।।